মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশক্রমে দেশের প্রতিটি শহরে ‘ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা’ বসানো হবে।
তিনি বলেন, রাজশাহী শহরে কেউ যেন যৌন হয়রানি বা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার না হন, সে জন্য এখানেও ওই ক্যামেরা বসানো হবে। সাধারণ সিসি ক্যামেরার চেয়েও অনেক উন্নত প্রযুক্তির হওয়ায় এটি সহজেই অপরাধীকে শনাক্ত করে দেবে। ফেস রিকগনিশন ক্যামেরা বসালে সন্ত্রাসীরা অপরাধ করে নিস্তার পাবে না।
পলক বলেন, মাত্র দুই বছরের মধ্যে এখানে ৪৩ কোটি ব্যয়ে ৭২ হাজার বর্গফুটের তিনটি অফিস প্রস্তুত। রাজশাহীতে বিশ্ববিদ্যালয় আছে, মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে রুয়েট, রাজশাহী কলেজ, সিটি কলেজ, নিউ ডিগ্রি কলেজ, পাবলিক-প্রাইভেট যতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে তাতে অন্তত এক লক্ষাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। তাদের কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশ যেতে হবে না। এমনকি ঢাকায় গিয়েও স্যান্ডেলের তলা ক্ষয় করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ মানে ঢাকা নয়, ঢাকার বাইরে রাজশাহী, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম- সব জায়গায় তরুণ প্রজন্মের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজশাহীর মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, উন্নত রাজশাহীর একটি ছোট্ট সংস্করণ এ বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক। এখানে সরাসরি ১৪ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। একসময় এ জায়গাটি এত সুন্দর ছিল না। হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজ শুরু হওয়ায় পদ্মা নদীর তীরের এ জায়গাটি এরই মধ্যে দর্শনীয় হয়ে উঠতে শুরু করেছে। কাজ শেষ হলে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক পদ্মাপাড়ের একটি অনন্য স্থাপনায় রূপ নেবে।
এর আগে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক এলাকায় বিভিন্ন প্রজাতির এক হাজার বৃক্ষের চারা রোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার নূর-উর-রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার সুজায়েত ইসলাম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৯
এসএস/একে