ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

দেশে প্রথমবার ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
দেশে প্রথমবার ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই এক্সপোর ঘোষণা দেওয়া হয়

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত হতে যাচ্ছে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো’। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির যৌথ উদ্যোগে ১৪ অক্টোবর (সোমবার) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এই আয়োজন।

শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই এক্সপোর ঘোষণা দেওয়া হয়। এসময় জানানো হয়, আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত হবে এক্সপো।

প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এক্সপোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।  

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রদর্শনীতে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। পাশাপাশি যেসব দেশীয় প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন করছে, তাদের জন্য থাকবে পৃথক জোন। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ কোনো স্বপ্ন নয় বরং বাস্তবতা। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা আমরা সবাই ভোগ করছি। প্রতিনিয়ত প্রযুক্তির পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের সমৃদ্ধ করে আমরাও উন্নতির মহাসড়কে অগ্রসরমান।  

প্রদর্শনীর বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এক্সপোতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি জ্ঞানকে বাড়িয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সেমিনারের আয়োজন থাকবে। থাকবে নিত্যনতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ। ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ স্লোগানে এবারের প্রদর্শনীতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি পণ্য প্রদর্শন করা হবে। আমরা ডিজিটাল ডিভাইস এক্সপোর্টিং কান্ট্রিতে পরিণত হতে চাই। দেশে প্রতি বছর হাজারো ডিজিটাল ডিভাইস আমদানি করতে হয়। তাই আমরা চাই  এমন একটি ইকোসিস্টেম তৈরি করতে যা আমাদেরকে ডিজিটাল ডিভাইস রপ্তানির দেশে পরিণত করবে। আর এই আয়োজন সেই স্বপ্ন পূরণের প্রথম ধাপ।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর অনেক দেশের রোল মডেল। প্রযুক্তির প্রদর্শনী নিজেদের সক্ষমতা প্রকাশ করে। দেশে এখন হাইটেক পার্কের সফলতা দৃশ্যমান। হাইটেক পার্কের কল্যাণে জেলা-উপজেলা এমনকি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষরাও প্রযুক্তির সুফল পাচ্ছেন। এক্সপো থেকে আমাদের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ফোরজি প্রযুক্তি ছাড়িয়ে পৃথিবী এখন ফাইভজি প্রযুক্তির দিকে ধাবমান। দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি বিশ্বের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে এই এক্সপো মাইলফলকের ভূমিকা রাখবে।  

আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ মজিবুল হক বলেন, এক্সপোর নামকরণ দেখেই বোঝা যায় এবারের প্রদর্শনীকে আমরা নিত্যনতুন আবিষ্কার এবং উদ্ভাবন দিয়ে সাজিয়েছি। সারাদেশে থেকে শিক্ষার্থীদের সেরা উদ্ভাবনগুলো এখানে প্রদর্শন করা হবে। স্বনামধন্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশে দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের নাম দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করবে। পৃথিবী জানবে ছোট এই দেশটিও প্রযুক্তিতে দ্রুত এগিয়ে চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এক্সপোর নলেজ পার্টনার হিসেবে কাজ করছেন। যাদের কাছে আমাদের আশা ভরসা, তারাই স্বপ্রণোদিতভাবে এই এক্সপোর অংশ। প্রযুক্তির আশীর্বাদ প্রতিটি মানুষের জীবনকে সহজ করছে।

প্রদর্শনীর পরিকল্পনা সম্পর্কে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেনটেশনে সম্যক ধারণা দেন বিসিএস সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর।

তিন দিনব্যাপী এই প্রদশর্নী সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বিনামূল্যে এই প্রদর্শনীতে প্রবেশের সুযোগ থাকলেও অনলাইনে নিবন্ধন বা স্পট রেজিস্ট্রেশন করে প্রবেশ করতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।