সম্প্রতি বাজফিড নিউজ নামে একটি ওয়েবসাইট ব্রিটেনের গোপনীয়তা বিষয়ক তদন্ত সংস্থা প্রাইভেসি ইন্টারন্যাশনালের বরাত দিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে উল্লেখ করা হয়, অনেক মানুষের শারীরিক মিলনের ট্র্যাক রেকর্ড আছে ফেসবুকের কাছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই অ্যাপসগুলো নারীদের ঋতুচক্র ট্র্যাকিং করে। আবার অনেক নারী গর্ভ ধারণের সঠিক সময় বা সেফ পিরিয়ড জানতেও ব্যবহার করেন এই অ্যাপসগুলো। আর এসব তথ্য জানতে ব্যবহারকারীকে অ্যাপসে দিতে হয় বিভিন্ন গোপনীয় এবং সংবেদনশীল তথ্য। তার একটি হচ্ছে, শেষ কবে বা কোন কোন দিন শারীরিক মিলনে লিপ্ত হয়েছেন সেই নারী ব্যবহারকারী।
শেষ কবে মাসিক হলো, কেউ জন্মনিরোধক পিল নিচ্ছেন কি-না এবং নিয়ে থাকলে কোন কোম্পানির- এসব তথ্যও দিতে হয় ব্যবহারকারীদের। ব্যবহারকারীদের শারীরিক মিলনের ইচ্ছা, মুড এসব তথ্যও জানতে চায় অ্যাপসগুলো।
এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল, কিন্তু সমস্যা হলো তখন, যখন ব্যবহারকারীদের এসব তথ্য ফেসবুক ডেভেলপারদের সঙ্গে বিনিময় করে অ্যাপসগুলো। নিজেদের প্ল্যাটফর্মে কিছু ফিচার আপডেট করার ফলে ফেসবুক ডেভেলপাররা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেতে শুরু করে এসব ডাটা।
এসব ডাটা ব্যবহার করে বিজ্ঞাপন প্রদর্শনের এলগরিদম সাজিয়ে নিজেদের ব্যবহারকারীদের বিজ্ঞাপন দেখায় ফেসবুক।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্লে-স্টোর থেকে মায়া অ্যাপসটি ৫০ লাখ বার এবং এমআইএ অ্যাপসটি ২০ লাখ বার ডাউনলোড করেছেন ব্যবহারকারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৯
এসএইচএস/টিএ