সোমবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সাংস্কৃতিক সংগঠন মানচিত্র আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তথ্যপ্রতিমন্ত্রী।
মাদক, জঙ্গিবাদ, গুজব ও যৌন নিপীড়ন বিষয়ে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে আয়োজিত এ আলোচনা সভায় মুরাদ হাসান বলেন, এখন সবচেয়ে জোরালো গণমাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক, যাকে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে চিনি।
‘বিভ্রান্তিকর, বিব্রতকর অপপ্রচার তারা ছড়াচ্ছে। তাদের তো কোনো কাজ নেই। দিন-রাত বসে বসে শুধু কীভাবে সরকারকে বিব্রত করা যায়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিব্রত করা যায় সে নিয়ে কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গবন্ধুকন্যাকে নিয়েও বিতর্ক করা হচ্ছে। ’
গুজব ছড়ানো এসব মহলকে স্বাধীনতাবিরোধী আখ্যা দিয়ে তথ্যপ্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী তারা এ ধরনের গুজব ছড়ায়। ফেসবুকে এখন আমাদের প্রায় তিন কোটি ব্যবহারকারী আছেন। তাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু তারা শেষ পর্যন্ত সফল হবে না। কারণ আমাদের দেশে মানচিত্রের মতো সংগঠনের সদস্যরাও আছেন যারা সংস্কৃতি চর্চা করেন। কবিতা লেখা ও আবৃত্তি, গান, বিতর্ক এসব সামাজিক এবং সৃজনশীল কাজের চর্চা করেন।
মানচিত্রের সভাপতি শরীফ হোসেন হৃদয়ের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল আমিন রুহুল, আবৃত্তিকার হাসান আরিফ, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার মুখার্জী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক তৌহিদুল হকসহ অন্যরা।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৯
এসএইচএস/এএ