শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত ‘ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিট ২০১৯’ শীর্ষক এক ওয়ার্কশপের প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন পলক। এসময় তিনি বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) অবিশ্বাস্য শক্তি সমাজকে সুনিপুণভাবে বদলে দিতে পারে।
প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশ নেন গ্লোবাল এশিয়া-প্যাসিফিক আমেরিকা (এপিএ) লিডারশিপ টিমের অ্যাডভাইজার দীপংকর সানওয়ালকা, হাওলেট পেকার এন্টারপ্রাইজ ইন্ডিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সম সাতসানজি, মডারেটর হিসেবে ছিলেন ওয়ার্ল্ড ইকোমিক ফোরামের আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ও মেশিন লার্নিংয়ের ফোর্থপলিও হেড কে এফ ভুটারফিল্ড। বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলের সরকারি ও বেসরকারি খাতের মেশিন লার্নিং ও আই বিশেষজ্ঞরা এতে অংশ নেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ ভিশন ঘোষণার পর বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্মার্ট সিটি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ সবকিছুতেই টেকনোলজি ও ইমার্জিং টেকনোলজি ব্যবহার করছে। আর্টিফিসিয়াল টেকনোলজি আসার পর মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজতর করতে আমরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ সবক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য এআই ব্যবহারের জন্য কার্যক্রম গ্রহণে কাজ করছি। বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই কৌশলপত্রের প্রাথমিক খসড়া প্রস্তুত করেছে। যা বর্তমানে চূড়ান্ত করার পর্যায়ে রয়েছে।
পলক বলেন, ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একদিকে মেশিনের কার্যক্রম বাড়বে এর বিপরীতে মানুষের কার্যক্রম কমে আসবে। ফলে মানুষকে রিস্কিলিং বা নতুন করে প্রশিক্ষিত করে তুলতে হবে। আর আমাদের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন প্রযুক্তির উপযোগী করে গড়ে তুলতে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন কারিকুলাম প্রস্তুত করা হচ্ছে।
সফরে তিনি আরো বেশ কয়েকটি প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস