বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খাঁন জানান, রোববার (০৬ অক্টোবর) বিকেলে সংশ্লিষ্ট দুটি অপারেটরের এ সংক্রান্ত পত্র এরইমধ্যে কমিশন কর্তৃক গৃহীত হয়েছে।
লাইসেন্স কেন বাতিল হবে না- তার নোটিশের জবাবে অপারেটর দুটি বলছে, নোটিশ জারির আগেই আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা বিচারাধীন থাকায় নোটিশটি ভিত্তিহীন।
গ্রামীণফোনের কাছে ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে বিটিআরসি’র দাবি।
পাওনা আদায়ের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর লাইসেন্স বাতিলের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠায় বিটিআরসি। ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। এরই মধ্যে টাকার অঙ্ক নিয়ে আপত্তি তুলে আদালতে যায়। পরে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিরোধ মীমাংসার উদ্যোগ নেন।
রোববার গ্রামীণফোন এক বিবৃতিতে জানায়, বিটিআরসি’র অমীমাংসিত এবং ভিত্তিহীন অডিট দাবির জটিলতা নিরসন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য আমরা অর্থমন্ত্রী, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমাদের লাইসেন্স বাতিল সংক্রান্ত বিটিআরসির ভিত্তিহীন শো-কজ নোটিশটি যেহেতু তুলে নেওয়া হয়নি, সেহেতু আমরা আমাদের প্রত্যুত্তর দাখিল করেছি।
রবি’র চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, বিতর্কিত নিরীক্ষা আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি আমাদের কাছে যে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। কারণ এ লিগ্যাল নোটিশ জারির আগেই আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা বিচারাধীন আছে। আর বিচারাধীন কোনো বিষয়ের ওপর কোনো মন্তব্য আমাদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। তবে এ বিষয়ে আমরা আগে যা বলেছি নতুন করে তার ওপর কিছু বলার নেই।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস