রোববার (১৩ অক্টোবর) আয়োজনের সর্বশেষ প্রস্তুতি এবং অন্যান্য সার্বিক দিক গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।
তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ, বাংলাদেশ হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, আইডিয়া প্রকল্প, এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হবে এই আয়োজন।
এতে সহযোগী পার্টনার হিসেবে থাকছে- বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), ই- কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য), ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপি-এবি), বাংলাদেশ ওম্যান ইন টেকনোলজি এবং বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ)।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তিনি বলেন, এই এক্সপোর পটভূমি রচিত হয়েছিল ২০১৬ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত হওয়া ডিজিটাল টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় বৈঠকে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। সেটি হলো- ডিজিটাল ডিভাইস এই দেশেই তৈরি হবে। শুধু তৈরি হবে না, সেসব পণ্য ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগ লাইনে বিদেশে রপ্তানি হবে।
‘আমরা সেই চ্যালেঞ্জটা নিলাম। এরপর থেকেই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে এই এক্সপো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। যার বাস্তব রূপ হতে যাচ্ছে। ’
ডিজিটাল ডিভাইস প্রস্তুতিতে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস প্রস্তুত করতে গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানিতে উচ্চহারে আমদানি শুল্ক দিতে হয়। এমন ৯৪টি কাঁচামাল আমদানিতে আমরা শুল্ক কমিয়েছি। যার মধ্যে কিছু একদম শূন্যতে নামিয়ে এনেছি।
‘ফলে পরের মাত্র দুই বছরে দেশে ডিজিটাল ডিভাইস প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। যার মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে উৎপাদন ও বিদেশে রপ্তানি শুরু করেছে। এর মাধ্যমে সামনে আমাদের তরুণ প্রজন্মের জন্য বিপুল সংখ্যক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। ’
এক্সপোর সহ-আয়োজক হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান হোসনে আরা বেগম বলেন, এই প্রথম বেসিসের সঙ্গে মিলে আমরা এই আয়োজন করত যাচ্ছি। আমরা এখন আইসিটিতে অনেক বেশি সক্ষম। সেটিই আমরা পৃথিবীকে জানাতে চাই। একইসঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে আইসিটির সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত করতে চাই।
আরেক আয়োজক বিসিএস’র সভাপতি শাহিদ উল মুনীর বলেন, এই আয়োজনের সঙ্গে থাকতে পেরে আমরা গর্বিত। এর মাধ্যমে দারুণ কিছু দেশীয় উদ্যোগ উঠে আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরও বক্তব্য রাখেন- বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর, ই- ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এটুআই’র প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এবারের আয়োজনে থাকছে আটটি জোনে প্রায় দুই শতাধিক স্টল ও প্যাভিলিয়ন। অংশগ্রহণ করবে প্রায় দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী উন্মুক্ত থাকবে সবার জন্য। রেজিস্ট্রেশন সাপেক্ষে এতে বিনামূল্যে প্রবেশ করতে পারবেন সবাই। মেলায় আসা দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের সেমিনার ও প্রদর্শনী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসএইচএস/এসএ