নিজেদের এই ইনোভেটিভ পণ্য নিয়ে ‘ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০১৯’ এ অংশ নিয়েছে সুমাইয়া টেক। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় রোবোটিক্স জোনের ১৫ নম্বর স্টলে ডিভাইসটির বিভিন্ন ফিচার দেখতে দর্শনার্থীদের উঁকিঝুঁকিও দেখা যায় বেশ।
এই মাল্টিমিডিয়া বোর্ড সম্পর্কে বাংলানিউজকে রিপা জাহান বলেন, এটি একটি পরিপূর্ণ ব্যবস্থা। একটি সাধারণ বোর্ডে হয়তো একসঙ্গে দুই জন লিখতে পারেন। এখানে একসঙ্গে দশজন শিক্ষক লিখতে পারবেন। ক্লাসে শিক্ষক না এলে ভিডিও চালিয়েও শিক্ষার্থীদের পড়ানো যায়। দূরবর্তী দুইটি জায়গা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমেও পাঠদান সম্ভব এখানে। একইসঙ্গে একাধিক বোর্ড এখানে একসঙ্গে কাজ করানো হয়। একটি বড় ক্লাসরুমে বা হলরুমে পেছন থেকে বা একটি পাশ থেকে বোর্ড দেখতে অনেক সময় সমস্যা হয় শিক্ষার্থীদের। এসব সমস্যার সমাধান হবে এই বোর্ডে। পাশাপাশি এই বোর্ডের ইন্টারনাল মেমোরিতে অনেক ধরনের কনটেন্ট সেভ করে রাখা যায়। অন্যকোনো ডিভাইস যেমন ল্যাপটপ বা মোবাইলের সঙ্গেও ভিডিও কাস্টিং করা যাবে এতে।
ডিজিটাল এই বোর্ড ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরও উপভোগ্য উপায়ে পাঠদান দেওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস করেন রিপা জাহান। দক্ষিণ কোরিয়ার স্কুলগুলোতে ডিজিটাল ক্লাসরুমের অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, সেখানে আমি প্রায় ১৪ ধরে বাস করছি। সেখানকার স্কুলগুলোতে এমন বোর্ডে পড়াশোনা করানো হয় একজন শিক্ষার্থী শুধু বই থেকেই পড়েন না বরং বইয়ে যা আছে তার বাস্তব চিত্র এই বোর্ডে দেখতে পারেন। এতে পাঠদান ও শিক্ষাগ্রহণ পদ্ধতি আরও আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
দেশের আনাচে কানাচে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য দিয়ে এই বোর্ড এখন বাংলাদেশে ছড়িয়ে দিতে চান রিপা। ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাগে বোর্ডটি দেশেই তৈরি করতে চায় সুমাইয়া টেকনোলজি। রিপা বলেন, ডিভাইসটি দেশেই তৈরি করা সম্ভব এবং আমরা তৈরি করতে চাই। এজন্য হাইটেক পার্কে আমরা দুই একর জায়গা চেয়ে আবেদন করেছি। কোরিয়া বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে এমনটা করা যেতে পারে। ৬৫ ইঞ্চির একেকটি ডিভাইস প্রায় ৩ লাখ টাকায় দেশে আনতে হচ্ছে। অথচ তৈরি করতে পারলে এর দাম এক লাখ টাকার আশেপাশে করা সম্ভব।
সুমাইয়া টেক আশা করে, তাদের এই উদ্যোগ পছন্দ করবে বাংলাদেশ সরকার। আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখবে এই বোর্ড।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৬, ২০১৯
এসিএইচএস/জেডএস