ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী জাতীয় জীবপ্রযুক্তি মেলা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী জাতীয় জীবপ্রযুক্তি মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ‘টেকসই উন্নয়নে জীবপ্রযুক্তি’ স্লোগানে শুরু হলো দুই দিনব্যাপী জাতীয় জীবপ্রযুক্তি মেলা-২০১৯।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি (এনআইবি) এর উদ্যোগে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে তৃতীয়বারের মতো আয়োজন করা হয় এ মেলার।  

শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে এ মেলার উদ্বোধন করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, এনআইবির মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ সলিমুল্লাহ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইয়াফেস ওসমান বলেন, আমরা আমাদের কর্তব্যের কতটুকু করতে পেরেছি আর আগামীতে কি করবো সেগুলোই তুলে ধরতে আমাদের এ আয়োজন। একই সঙ্গে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা আপনাদের সামনে তুলে ধরতে চাই। আমি বিজ্ঞানীদের আহ্বান জানাই তারা যেন নিজেদের দেশের তরে সোপর্দ করে কাজ করেন। বর্তমানে পৃথিবীতে জীবপ্রযুক্তি হলো সব চেয়ে এগিয়ে থাকা বৈজ্ঞানিক যন্ত্র।  

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চাইতেন বাংলাদেশ হবে বিজ্ঞান নির্ভর সোনার বাংলা। এ জন্য বিজ্ঞানীদের ওপর তার অগাধ আস্থা ছিল। যে কারণে বিজ্ঞানী ড. কুদরাত-ই-খুদার নেতৃত্বে তিনি শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। দেশের গবেষক-বিজ্ঞানীদের দায়িত্ব নিতে হবে দেশের অধিকতর উন্নয়নে অবদান রাখায়।  

তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের ব্যবহারই চতুর্থ শিল্প বিপ্লব। এ বিপ্লবের জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নেন অতিথিরা। র‌্যালিটি রাজধানীর বিজয় সরণির বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেলা প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।  

প্রসঙ্গত, এবারের মেলায় ২৫টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় এক হাজার ২০০ শিক্ষার্থীসহ গবেষণা প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ, শিল্প, ব্যবসা ও সেবা প্রতিষ্ঠান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং স্ব শিক্ষিত গবেষকগণ ৬৮টি স্টলে তাদের কার্যক্রম প্রদর্শন করবেন। মেলায় অংশগ্রহণকারীদের জন্য থাকছে প্রযুক্তির জনপ্রিয় বিষয় উপস্থাপন, সচেতনতামূলক পোস্টার প্রেজেন্টেশন প্রতিযোগিতা, গবেষণা থিসিস থিম তিন মিনিটে উপস্থাপন প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৮, ২০১৯
এসএইচএস/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।