ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রামীণফোন-রবির ‘বকেয়া’ টাকার বিষয়টি কোর্টে সুরাহা হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৯
গ্রামীণফোন-রবির ‘বকেয়া’ টাকার বিষয়টি কোর্টে সুরাহা হবে

ঢাকা: মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন ও রবির নিরীক্ষা আপত্তির টাকা আদায়ের বিষয়টি কোর্টের মাধ্যমে সুরাহা হবে এবং এমনটি হলে তা সবার জন্য ভালো হবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, এ টাকা আদায়ে সরকার আন্তরিকভাবে এগিয়ে এলেও অপারেটর দু’টির সহযোগিতা না পাওয়ায় বিষয়টি সুরাহা করা যায়নি। তাই কোর্টের মাধ্যমেই সুরাহা হবে।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৯তম অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ও রবির সঙ্গে টেলিকম মন্ত্রী ও বিটিআরসি চেয়ারম্যানের কয়েক দফা বসা হয়েছিল।

বলা হয়েছিল, আপনাদের হিসাবে তো কিছু টাকা পাই, কিছু পেমেন্ট করুন। সেই টাকা না দেওয়াতে আলোচনা এগিয়ে যায়নি। এর আগেই তাদের কোর্ট-কেইস হয়ে গেছে। কোনো মামলা হয়ে গেলে এসবের বিষয়ে আমরা নিষ্পত্তি করতে বা সুরাহা করতে পারবো না, কোর্টের মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। সার্বিক বিবেচনায় আমরা ভাবলাম, সময় তাদের দিয়েছিলাম এবং তারা চুক্তিও করলো আমাদের সঙ্গে- তারা কমপ্লায়েন্সে নেবে কি-না, তারা কমপ্লায়েন্সে নিতে পারেনি, তাদের আবার বোর্ড মিটিং করতে হবে সেজন্য হয়নি। আশা করি হয়ে যাবে, কিছু না কিছু হবেই ডেফিনেটলি। ’

বিষয়টি আদালতে, সেজন্য এ বিষয়ে আর কথা বলা ঠিক না মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, কোর্ট থেকে যেটা হবে সেটা তাদেরও মানতে হবে, আমাদেরও মানতে হবে।

‘তবে আমরা মনে করি এ সমস্ত ক্ষেত্রে বারবার কোর্টে না গিয়ে কোর্টের বাইরে সমাধান হওয়া উচিত। তারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর আমরাও সরকার যেভাবে এগিয়ে এসেছিলাম- সরকারি মনোভাব দেখাইনি, আন্তরিকভাবে এগিয়ে গিয়েছিলাম, সে ধরনের সহযোগিতা পাইনি। অনেক দিন অপেক্ষা করা হয়েছে, টাকা দেবে টাকা দেবে, টাকা তারা দেয়নি। আমাদের যে পাওনা আছে, টাকা না দিলে কী নিয়ে আলোচনা করবো? যদি টাকা কিছু দিতো তাহলে বুঝতাম আন্তরিকতা আছে। ’

গ্রামীণফোনের কাছে নিরীক্ষা আপত্তির দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং রবির কাছে ৮৬৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাওনা রয়েছে বলে দাবি করে আসছে বিটিআরসি। কয়েক দফা চেষ্টায় সেই টাকা আদায় করতে না পেরে লাইসেন্স বাতিলের হুমকি দিয়ে নোটিশ পাঠানো হয় দুই মোবাইল ফোন অপারেটরকে।

অন্যদিকে টাকার ওই অংক নিয়ে আপত্তি রয়েছে গ্রামীণফোন ও রবির। বিটিআরসি সালিশের মাধ্যমে বিষয়টির নিষ্পত্তিতে রাজি না হওয়ায় দুই অপারেটর যায় আদালতে। গ্রামীণফোন ও রবির নিরীক্ষা আপত্তির টাকা আদায়ে অর্থমন্ত্রীর উদ্যোগে ফল না আসায় কোম্পানি দু’টিতে প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে টাকা আদায় প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করেছে সরকার।

এদিকে গ্রামীণফোনের আপিল গ্রহণ করে এই মোবাইল অপারেটরের কাছ থেকে বিটিআরসির নিরীক্ষা দাবির ১২ হাজার ৫৭৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকা পাওনা আদায়ে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯ 
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।