ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

আরএমজি খাতে ডিজিটাল মজুরি বিতরণে বিকাশের ভূমিকার প্রশংসা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
আরএমজি খাতে ডিজিটাল মজুরি বিতরণে বিকাশের ভূমিকার প্রশংসা

ঢাকা: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক (আরএমজি) খাতের শ্রমিকদের ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি বিতরণ এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিকাশের প্রভাবের প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে পরিদর্শনে আসা বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নির্বাহী পরিচালকরা।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) আশুলিয়ায় নিউএজ গ্রুপের কারখানা পরিদর্শনে এসে প্রতিনিধিদল বিকাশে বেতন প্রদানের মাধ্যমে তৈরি পোশাক কর্মীদের জীবনযাত্রার পরিবর্তন এবং কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির খোঁজ খবর নেন।

এসময় তারা কর্মীদের কাজের পরিবেশ, অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে কর্মীদের জন্য বিকাশের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিগুলো ঘুরে দেখেন এবং কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

বিকাশ ও নিউএজ গ্রুপের কর্মকতাদের সঙ্গেও নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেন তারা।

বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কার্যক্রমগুলো কেমন চলছে, নিম্নমধ্যম আয়ের দেশের শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জগুলো কী ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা নিতেই বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকরা বাংলাদেশে এসেছেন। এর অংশ হিসেবে বিশ্বব্যাংক গ্রুপের অন্তর্গত ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স করপোরেশনের অংশীদার বিকাশ ও নিউএজ গ্রুপের মতো তাদের বিভিন্ন অংশীদ্বারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে প্রতিনিধিদল।

বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল কাদীর সামগ্রিক পেমেন্ট ডিজিটাইজেশনের ওপরে আলোকপাত করে বলেন, আর্থিক সেবা গ্রহণে এখনও দেশে জেন্ডার বৈষম্য রয়েছে এবং বিকাশের মতো সেবাগুলো এই বৈষম্য দূর করতে ভূমিকা রাখছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ নারী শ্রমিক নির্ভর তৈরি পোশাক খাতে ডিজিটাল বেতন বিতরণ নারীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।

বিশ্বব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর প্যাট্রিজিও প্যাগানো বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে আমরা ব্যাপক পরিবর্তন দেখেছি। আগে কারখানাগুলি নগদ টাকা বা ব্যাংকের মাধ্যমে বেতন বিতরণ করতো। যা ঝামেলাপূর্ণ এবং সময়সাপেক্ষ ছিল। ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেতন বিতরণ কর্মী এবং মালিকপক্ষ উভয়ের জন্য লাভজনক। বৃহত্তম ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল সমৃদ্ধ বিকাশে বেতন প্রদান করে কারখানাগুলো আরও গতিশীল, উৎপাদনক্ষম এবং কর্মী বান্ধব হয়ে উঠছে।

নিউএজ গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প নিয়ে কথা বলেন এবং বেতন ডিজিটাইজেশনের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে শ্রমিকদের সুবিধার সঙ্গে  প্রশাসনিক ব্যয় কমে, আর্ন্তজাতিক ক্রেতারা আকৃষ্ট হয় এবং কারখানার উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। তিনি আইএফসি ও বিকাশকে ধন্যবাদ জানান।

বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদল পর্যবেক্ষণ করেন, বেতন গ্রহণে কর্মীরা বিকাশকে সবচেয়ে সুবিধাজনক অপশন মনে করছেন। বিকাশে বেতন পাওয়া এবং সরাসরি বাড়িতে টাকা পাঠানোর সুযোগ তাদের জীবন সহজ করেছে। অন্য বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো ছাড়াও মোবাইল ফোন রিচার্জ, দোকানে পণ্য কিনে পেমেন্ট, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধের মতো কাজেও তারা বিকাশ ব্যবহার করছেন।

বর্তমানে ২৮০টি তৈরি পোশাক কারখানার প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার পোশাক কর্মী বিকাশে বেতন পাচ্ছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এসই/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।