ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলাদেশে ডিজিটাইজেশনের অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাংকের প্রশংসা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০১৯
বাংলাদেশে ডিজিটাইজেশনের অগ্রগতিতে বিশ্বব্যাংকের প্রশংসা

ঢাকা: বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিগত এক দশকে বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। এছাড়াও তারা এলআইসিটি প্রকল্পের সফল সমাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে  বিশ্বব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল এমনটাই জানিয়েছে বলে দাবি আইসিটি বিভাগের।

সোমবার (০৪ নভেম্বর) আইসিটি বিভাগ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুপুরে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বিশ্বব্যাংকের ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

রাজধানীর আগারগাঁও এ আইসিটি টাওয়ারে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের নেতৃত্ব দেন নির্বাহী পরিচালক গেইর হারডি।

এসময় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, একদশক পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা রুপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য চারটি স্তম্ভ- মানব সম্পদ উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি, ই-গভর্নেন্স ও আইটি ইন্ডাস্ট্রি প্রমোশন বাস্তবায়নে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বটম-আপ পদ্ধতি অনুসরণ করে তৃণমূল থেকে ডিজিটাজেশনের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে গ্রামে বসবাসকারী মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য সারাদেশে সাড়ে ৪ হাজার এর বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়। সরকার ইতোমধ্যে ৩৭৯টি সেবা ডিজিটাইজ করেছে। এসব সেবা মানুষ অনলাইনে গ্রহণ করছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সকল সেবা ডিজিটাইজ করা হবে।

‘বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেন্টিভিটি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আইটি শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এসব পার্কগুলো নির্মিত হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। ’ 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের ই-গভর্মেন্ট সূচক উন্নয়নে সরকার তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ডিজিটাইজেশন, ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এবং ইন্টার-অপেরাবল (আন্তঃপরিবাহী) ফ্রেমওয়ার্ক। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ই-গভর্মেন্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমান ১১৫ থেকে ৫০ এ নেমে আসবে।

অন্যদিকে বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিগত এক দশকে বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও তারা এলআইসিটি প্রকল্পের সফল সমাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ প্রকল্পের বিভিন্ন উপাদান যেমন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (বিএনডিএ), টিয়ার-৩ ডাটা সেন্টার এবং কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদে পরিণত হয়েছে।

গেইর হারডিসহ  বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের নির্বাহী পরিচালকদের মধ্যে ডিজে নর্ডকুইস্ট, প্যাট্রিজিয়ো পাগানো, জর্জ শ্যাবেজ পেরেসা, জিন কডি, হার্ভডি ভেলেরকসহ বেশ কয়েকজন হোস্ট এবং অল্টারনেটিভ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।  

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম ও কম্পোনেন্ট টিম লিভার সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৯
এসএইচএস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।