শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের ব্যাংক, আর্থিক ও প্রযুক্তিখাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর তিনশতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীরা।
এবারের সামিটের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘জনগণের জন্য অর্থের ভবিষ্যৎ রূপদান’। যেখানে সংলাপের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ফিনটেক কোম্পানিগুলোর জন্য সঠিক কাঠামো গঠন ও নীতি নির্ধারণ করে বাংলাদেশের ফিনটেক ইন্ডাস্ট্রিকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ করা, যাতে বিশ্বব্যাপী ফিনটেক প্রসারের সব সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
এজন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ফিনটেক বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রবন্ধ উপস্থাপন, প্যানেল আলোচনা, ইনসাইট সেশন, কেস স্টাডি প্রেজেন্টেশন এবং ব্রেকআউট সেশন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধনী বক্তব্যে ডেলয়েট সাউথ এশিয়ার আর্থিক পরিষেবা শিল্পের প্রধান সঞ্জয় দত্ত বলেন, কীভাবে আর্থিক পরিষেবাগুলো কাঠামোবদ্ধ, প্রস্তুত এবং ভোগ করা হচ্ছে, তারা ভবিষ্যৎ উদ্ভাবনের ভিত্তি স্থাপন করেছে এবং গতিবেগ স্থাপন করেছে এর ওপর ভিত্তি করে ফিনটেকগুলো পরিবর্তিত হয়েছে। এ অনুযায়ী আগত আর্থিক সংস্থাগুলোকে গ্রাহকের প্রত্যাশা মিলিয়ে সাড়া দিতে হবে।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাসটেইনেবল ডেভলপমেন্ট গোলস (এসডিজি) কার্যক্রম বিষয়ক প্রিন্সিপাল কো-অর্ডিনেটর মো. আবুল কালাম আজাদ, সিটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাশরুর আরেফিন, ব্যাংক এশিয়ার এমডি মো. আরফান আলী, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলী রেজা ইফতেখার, বিকাশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল এস কাদির, মাস্টারকার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আর্থিকখাত যেকোনো দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ ও প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের জন্যও ফিনটেকখাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। কীভাবে এটি শিল্পখাতকে নতুন আকৃতি দেয় এবং সংলাপের ভিত্তিতে আর্থিকখাত বিস্তৃত হয় তার দিকে নজর দেওয়ার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৯
এসই/জেডএস