ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

টেলিটক শক্তিশালী করতে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
টেলিটক শক্তিশালী করতে প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, টেলিটকের প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। মানুষের প্রত্যাশিত জায়গায় টেলিটককে উন্নীত করতে চলমান প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন এবং টেলিটককে আমাদের ফোন হিসাবে প্রতিষ্ঠায় যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। 

মন্ত্রী বলেন, টেলিটক শক্তিশালী হলে মোবাইল ফোন সার্ভিসে যুগান্তকারী পরিবর্তন সূচিত হবে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকায় গুলশানে টেলিটক সদরদপ্তরে অপারেটরটির ১৫তম বার্ষিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।

 

টেলিটকের বোর্ড চেয়ারম্যান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রী বলেন, তৃতীয় শিল্প বিপ্লব ছিলো কম্পিউটারকেন্দ্রীক একটি বিপ্লব। বর্তমানে অতিক্রান্ত করা সময়টিতে এটি কানেকটিভিটিতে রূপান্তরিত হয়েছে। শিল্প, বাণিজ্য কিংবা প্রশাসনসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংযোগ মূল ভিত্তি হয়ে দাঁড়াবে।  

তিনি বলেন, টেলিটকসহ ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অধীন প্রত্যেকটি কোম্পানি কোনো না কোনোভাবে সংযোগের সঙ্গে যুক্ত। সেজন্যই আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সক্ষম করে গড়ে তোলা অপরিহার্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে ডিজিটাল প্রযুক্তি দুনিয়ায় এখন আমরা একটা যুগের সমাপ্তি শেষে নতুন একটা যুগে পদার্পণের সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ফাইভ-জি প্রযুক্তিকে তিনটি শিল্প বিপ্লব মিস করে সরাসরি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের শরিক হওয়ার মহাসড়ক অভিহিত করে বলেন, টু-জি, থ্রি-জি ও ফোর-জি প্রযুক্তিতেও আমরা অন্যদের শেষে শরিক হয়েছি। কিন্তু পৃথিবীতে প্রথম যে কয়টি দেশ ফাইভ-জি প্রযুক্তি চালু করবে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম একটি। ২০১৮ সালে ফাইভ-জির পরীক্ষামূলক কার্যক্রম উদ্বোধনের পর বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বদলে গেছে। পৃথিবীর অন্তত ৬টি দেশে বাংলাদেশে টেলিটক বিশেষ করে টেলিযোগাযোগখাতে বিনিয়োগের আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রীকে টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের বিজনেস প্লান বিষয়ে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনা দেওয়া হয়।

মন্ত্রী টেলিটকের অব্যাহত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে টেলিটক বোর্ডের সদস্যরা ছাড়াও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শাহাব উদ্দিন, বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিবুল মতিন, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম এবং বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।