বিজয়ীরা হলেন- আহসান হাবীব (স্মার্ট হোয়াইট কেন), মো. ইমতিয়াজ আহমেদ (ফ্রি ফল), আবু নোমান সৈকত (জুট সাইকেল), নওশীন জাহান (ইউপিক্স), রাকিব হাসান (রিফাইন স্টিক), ফাল্গুন সেন (টেক্সট অ্যান্ড ভয়েস টু ব্রেইল ট্রান্সলেটর), তাওহীদুল ইসলাম (টিউব ইন এম্বাকমেন্ট) এবং আরাফ ইশরাক (কসমিক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স রোবট)।
মঙ্গলবার (০৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ অডিটরিয়ামে এবারের আসরের সমাপনী আয়োজনে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে তাদের মধ্যে প্রাইজমানি তুলে দেওয়া হয়।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান বলেন, এমন আয়োজনের মধ্যে দিয়ে নতুন নতুন উদ্ভাবক-উদ্যোক্তা উঠে আসে। তাই এমন আয়োজন যাদের উদ্যোগ আমি তাদের প্রতি সাধুবাদ জানাই। আমি এখানে সরকারের একজন মানুষ না বরং ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা হিসাবেও ছিলাম। অন্যরাও ছিলেন। আমার বিশ্বাস আমরা দারুণ কিছু উদ্ভাবন এখানে দেখেছি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, এসব উদ্ভাবন বাংলাদেশে যেমন দরকার তেমনি বিশ্বেও ব্যাপক চাহিদা আছে। আমাদের দেশে পাঁচ কোটি গ্রাহকের একটি বড় বাজার রয়েছে, যা অনেক দেশেই নেই। এর অর্থ হচ্ছে, একটি পণ্য বা সেবা বাজারে এলে তার বিশাল বড় বাজার প্রস্তুত অবস্থায় আছে। আর তাদেরকে উৎসাহিত করতে সরকার বাংলাদেশ স্টার্টআপ কোম্পানি লিমিটেডের মাধ্যমে ১০০ কোট টাকা বরাদ্দ রেখেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সঙ্গে যেসব প্রযুক্তি সম্পর্কিত সেগুলোর গবেষণায় রাখা হয়েছে আরো ৫০ কোটি টাকা। মেইড ইন বাংলাদেশ বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই আমরা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় এটুআই’র হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট মিডিয়া এবং ইনোভেশন ল্যাবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত হয়েছে ‘উদ্ভাবকের খোঁজে সিজন-২’ এর এবারের আয়োজন। এবারের চ্যাম্পিয়ন স্মার্ট হোয়াইট কেন এবং ফ্রি ফল পেয়েছে ২০ লাখ টাকা করে প্রাইজমানি। একইসঙ্গে আইসিটি বিভাগ থেকে স্মার্ট হোয়াইট কেন-কে দেওয়া হয়েছে আরও পাঁচ লাখ অনুদান। এছাড়া জুট সাইকেল, রিফাইন স্টিক এবং ইউপিক্স পেয়েছে ১০ টাকা প্রাইজমানি। পাশাপাশি আইসিটি বিভাগ থেকে রিফাইন স্টিক এবং কসমিক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স রোবটকে দেওয়া হয়েছে দুই লাখ করে অনুদান। আর বাকি বিজয়ীরা পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা করে সিড মানি।
এবারের আসরে প্রায় দুই হাজারের বেশি উদ্ভাবক আবেদন করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস