এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান তিনটি একটি অংশীদারি চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বলে সোমবার (০৯ ডিসেম্বর) প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গ্রামীণফোনের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাজারো ডিজিটাল সেবা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেছে দেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ।
গ্রামীণফোন, সৃজনী ফাউন্ডেশন এবং ফেরাটমের এই যৌথ উদ্যোগের ফলে ২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে গ্রামীণ নারীদের মাঝে স্মার্টফোন ব্যবহারের উপযোগিতা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি, সাশ্রয়ী মূল্যের স্মার্টফোন কেনায় নারীদের জন্যে বিশেষ ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ো এবং সংযোগসহ স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে প্রথম ছয় মাসের জন্য ২০ গিগাবাইট ইন্টারনেট ডাটা দেওয়া কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এক্ষেত্রে গ্রামীণ নারীদের জন্যে স্মার্টফোন কেনায় ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ায় কাজ করবে সৃজনী ফাউন্ডেশন এবং ফেরাটম গ্রুপ। আর স্মার্টফোন, ডাটাসহ সংযোগ করে দেবে গ্রামীণফোন।
রোববার (০৮ ডিসেম্বর) একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গ্রামীণফোনের প্রধান কার্যালয়ের ইনোভেশন ল্যাবে। আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান, প্রোডাক্ট বিভাগের প্রধান এইএম সাইদুর রহমান, ডিভাইস বিভাগের প্রধান সরদার শওকত আলী এবং হেড অব এক্সটারনাল কমিউনিকেশনস মুহাম্মদ হাসান।
মেহের আফরোজ বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রয়াসের মূলে রয়েছে দেশের সব জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসা। এই লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে সরকার। ইতোমধ্যেই প্রতি ১০ জনের ছয়জন ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন। আমাদের এখন মূল লক্ষ্য হতে হবে ইন্টারনেট সেবার বাইরে রয়ে যাওয়া জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেট সেবার আওতায় নিয়ে আসার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের সব সেবা তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া।
এক্ষেত্রে গ্রামীণফোন, ফেরাটম গ্রুপ এবং সৃজনীর এই যৌথ উদ্যোগ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে ডিজিটাল সেবার আওতায় নিয়ে আসতে অসামান্য ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করেন মেহের আফরোজ।
গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও ও সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের উৎকর্ষের এই সময়ে এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা শহুরে জীবনের সুযোগ-সুবিধা গুলো বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে পারি।
সৃজনী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী ড. এম হারুন অর রশিদ বলেন, বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষেত্রে গতানুগতিক ব্যাংকিং সেবাগুলো এখনও হাতের নাগালের বাইরেই রয়ে গেছে। এই যৌথ উদ্যোগের ফলে সমাজের অবহেলিত, সুবিধাবঞ্চিত এবং স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর মধ্যে তথ্য সেবা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে। ফলে কৃষি নির্ভর আর্থিক কর্মকাণ্ড কিংবা দারিদ্র্য বিমোচনের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।
বিশেষ এই উদ্যোগ নিয়ে আরও বক্তব্য দেন গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার রাশেদুল হাসান স্টালিন এবং প্রোডাক্ট লিড স্পেশালিষ্ট ও ডিভাইস ফাইন্যান্সিং প্রজেক্টের ম্যানেজার কেএম রেজওয়ান শাকিল, ফেরাটম গ্রুপ ও সৃজনী বাংলাদেশের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৯
এমআইএইচ/টিএ