কিছু দিন আগে ইতালির একজন মন্ত্রী হুয়াওয়েকে ৫জি নেটওয়ার্কে অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন। ভারতের এমন সিদ্ধান্ত তাই গুরুত্ব বহন করছে।
ভারতের টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সম্প্রতি বলেন, সব ভেন্ডর ও অপারেটরদের সঙ্গে নিয়েই পরীক্ষামূলকভাবে ৫জি চালুর কাজ করা হবে। এজন্য ৫জি স্পেকট্রাম (তরঙ্গ) দেওয়ার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৫জি চালুর এই পর্যায়ে আমরা ভেন্ডরদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিবেচনায় ভারতকে বিশ্বের দ্বিতীয় বড় ওয়্যারলেস মার্কেট বলা হয়ে থাকে।
৫জি সেবার বিষয়ে আগামী মার্চে দেশটিতে ৫জির তরঙ্গ নিলাম বসার কথা রয়েছে।
হুয়াওয়ের প্রতি ভারত সরকারের এই সবুজ সংকেতের ফলে এখন প্রতিষ্ঠানটি ওই নিলাম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে।
ভারতের টেলিযোগাযোগ কোম্পানিগুলো সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে।
৫জি চালু করতে ফ্রান্স, হাঙ্গেরি, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, রাশিয়া ও মালয়েশিয়াতে অনুমতি পেয়েছে হুয়াওয়ে। সারা বিশ্বের ৫১টি বাণিজ্যিক ৫জি নেটওয়ার্কের ৩৫টিতেই হুয়াওয়ের উপস্থিতি রয়েছে।
৫ম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক তৈরিতে হুয়াওয়ের অংশগ্রহণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। জাতীয় নিরাপত্তার কথা বলে ইতোমধ্যেই চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে নিষিদ্ধ করেছে দেশটি। অস্ট্রেলিয়া, জাপান, নিউজিল্যান্ড ও তাইওয়ান ইতোমধ্যে হুয়াওয়েকে নিষিদ্ধ করেছে।
অন্যদিকে, টেলিনরের মতো খ্যাতনামা অনেক টেলিযোগাযোগ কোম্পানি হুয়াওয়ের সঙ্গে কাজ করছে। সম্প্রতি নরওয়েতে ৫জি নেটওয়ার্ক চালুর ক্ষেত্রে হুয়াওয়ের যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ঘোষণাও দিয়েছে টেলিনর।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০২, ২০২০
এইচএডি/