ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রামীণফোনে প্রথম বাংলাদেশি সিইও ইয়াসির আজমান

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
গ্রামীণফোনে প্রথম বাংলাদেশি সিইও ইয়াসির আজমান

ঢাকা: দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হয়েছেন ইয়াসির আজমান। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই পদে নিয়োগ পেলেন।

গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ ইয়াসির আজমানকে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সিইও হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে অপারেটরটি।

গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার আগে আজমান ২০১৫ সালের জুন থেকে গ্রামীণফোনের সিএমও এবং ২০১৭ সালের মে থেকে ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

এর আগে আজমান টেলিনর গ্রুপের বিতরণ এবং ই-বিজনেস বিভাগের প্রধান এবং টেলিনরের হয়ে বিভিন্ন দেশে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।

ইয়াসির আজমান বর্তমান প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাইকেল ফোলির স্থলাভিষিক্ত হবেন। মাইকেল আফ্রিকায় তার পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মাইকেল ফোলি ২০১৭ সালে মে মাস থেকে গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগে টেলিনর পাকিস্তান ও বুলগেরিয়ার সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গ্রামীণফোন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান পেটার বি ফারবার্গ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইয়াসির আজমান গ্রামীণফোন এবং টেলিনর গ্রুপের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেই আজকের অবস্থানে এসেছেন। আমি অনেক আনন্দিত যে আজমান আমাদের বাংলাদেশি অপারেশনের নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। তিনি প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে গ্রামীণফোনের সিইও হচ্ছেন। এটি টেলিনর এবং গ্রামীণফোনের সবার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও হিসেবে আজমান টেলিনর গ্রুপের সব থেকে বাণিজ্যিকভাবে সফল অপারেশন পরিচালনা করে আসছেন। আমি বিশ্বাস করি আজমান সিইও হিসেবেও তার নতুন চ্যালেঞ্জে একইভাবে সফল হবেন।

ফারবার্গ আরও বলেন, মাইকেলের নেতৃত্বে গ্রামীণফোন মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি করেছে এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি সম্পন্ন করেছে। আমি টেলিনর ও গ্রামীণফোনের জন্য তার বিশেষ অবদানকে ধন্যবাদ দিতে চাই।

ইয়াসির আজমান বলেন, গ্রামীণফোনের সিইও হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব পেয়ে আমি অনেক আনন্দিত এবং সম্মানিতবোধ করছি। ডিজিটাল বাংলাদেশ, সামাজিক ক্ষমতায়ন এবং আমাদের গ্রাহকদের জন্য যা গুরুত্বপূর্ণ তার সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাসী। বাংলাদেশের অপার সম্ভাবনাকে পূর্ণরূপে বিকশিত করতে আমাদের এ সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অত্যন্ত কার্যকরী। আমি আমাদের সাত কোটি ৫০ লাখ গ্রাহকের আস্থাকে সম্মান জানাই। সেইসঙ্গে আমাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি আর সেবার মাধ্যমে তাদেরকে আরও উন্নত সেবা দিয়ে যেতে চাই।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পরিবর্তন ১ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।