ফাইভ-জির নানাবিদ সেবা ও প্রযুক্তি প্রদর্শন চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা-২০২০। এ প্রযুক্তি কীভাবে ব্যবহার করা যাবে তাও দেখানো হচ্ছে মেলায়।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, মেলার ডিজিটাল গেট আগতদের মুগ্ধ করেছে। গেট পেরিয়ে যেতে হবে মেলার স্টলে। যেখানে জেডটিই, হুয়াওয়ে, এরিকসন ফাইভ-জি প্রযুক্তির প্রদর্শন করছে। প্রদর্শনীতে এসেছেন শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার সব বয়সী মানুষ।
প্রদর্শনীতে দেখানো হচ্ছে, কীভাবে ফাইভ-জির সেবার মাধ্যমে মানুষ ছাড়াই ড্রোনের মাধ্যমে সব ধরনের কঠিন কাজ সহজে করা যায়। কীভাবে চালক ছাড়া গাড়ি সিগনাল মেনে চলাচল করছে। কীভাবে ঢাকা শহরে থেকে আমেরিকান চিকিৎসকের সেবা নেওয়া যায় ইত্যাদি।
মেলায় আগত ইমরুল নামের এক শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে বলেন, মেলায় নতুন প্রযুক্তির প্রদর্শন করা হচ্ছে। যেকোনো প্রযুক্তির প্রদর্শনী আমাদের উৎসাহিত করে।
এরিকসনের সিনিয়র নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসিবুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আমরা ফাইভ-জি সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার পাশাপাশি কীভাবে সহজে সেবা পাওয়া যাবে সেটা দর্শনার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। রোডে এখন চালকবিহীন কোনো গাড়ি ছাড়লে ফিডব্যাক পেতে ১০ সেকেন্ড সময় লেগে যায়, এতে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। ফাইভ-জি হলে সেটা হবে না, মুহূর্তেই কন্ট্রোল করা যায়, সিগনাল দেখে চলা যায়।
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ইন্টারনেট সেবাদাতাসহ (আইএসপি) ৮২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এতে রয়েছে ২৫টি স্টল, ২৯টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন।
www.digitalbangladeshmela.org.bd ওয়েব লিংকে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করলে বিনামূল্যে মেলা দেখার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। মেলায় প্রবেশমুখেও রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা রয়েছে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় যাওয়া-আসার সুবিধার্থে দর্শনার্থীদের জন্য শাটল বাস সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ঢাকার উত্তরা, মালিবাগ, মতিঝিল, আজিমপুর ও মিরপুর থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ও দুপুর ১টায় বাসগুলো মেলার উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। মেলা শেষে দর্শনার্থীদের নিয়ে রাত ৮টায় বাসগুলো আবার ফিরতি রুটে চলাচল করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
ইএআর/এইচএডি/