মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পর রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানটিতে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব এন এম জিয়াউল ইসলাম, বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস, চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম এবং অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
গত বছরের নভেম্বরে আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর বহু সংখ্যক ডিজিটাল স্টার্টআপ অনলাইন সাবমিশনের মাধ্যমে এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। স্টার্টআপগুলোর ডিজিটাল পরিকল্পনার অভিনবত্ব, পরিসর পরিবর্তনযোগ্যতা ও কার্যকারিতার ওপর ভিত্তি করে মোট সাতটি স্টার্টআপকে নির্বাচন করা হয়।
এ সাতটি স্টার্টআপ হলো- সেভ আপ লিমিটেড, কারুকথা সফটওয়্যার, ঘটান, এএনটিটি রোবোটিক্স, মেসবুক, অফশোর ও বুকশিওনারি.কম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে অবস্থিত জনতা টাওয়ারের আইটি ইসকিউবেটরে স্টার্টআপগুলো অবকাঠামো, উপকরণ ও প্রশিক্ষণ পাবে। স্টার্টআপগুলো যথাক্রমে ডিসকাউন্টভিত্তিক ডিজিটাল ডিরেক্টরি, কারুশিল্পীদের জন্য ই-কমার্স, ইভেন্ট ব্যবস্থাপনায় দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্ল্যাটফর্ম, এসটিইএম প্রশিক্ষণ, ছাত্র/অবিবাহিতদের জন্য বাসস্থান ব্যবস্থাপনা, ভ্রমণকারী ও ক্রেতাদের সংযুক্তকারী ই-কমার্স ও ডিজিটাল পদ্ধতিতে বই বিনিময় নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গালা নাইটে ঘোষণা করা হয় আরও দু’টি স্টার্টআপের নাম, যেগুলো বাংলালিংক আইটি ইনকিউবেটরের দ্বিতীয় ব্যাচে যোগ দিয়ে অনুষ্ঠেয় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ফোরওয়াইএফএন (ফোর ইয়ার্স ফ্রম নাউ) নামক ইভেন্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। এ স্টার্টআপ দু’টি হলো- টিচ ইট এবং ইজি সেন্স। উক্ত ইভেন্টে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিনিয়োগকারীদের সামনে নিজেদের উদ্যোগ ও পরিকল্পনা উপস্থাপনার সুযোগ পাবে তারা।
আইটি ইনকিউবেটর বাংলালিংকের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের ফ্ল্যাগশিপ করপোরেট রেসপনসিবিলিটি প্রোগ্রাম ‘মেক ইওর মার্ক’-এর অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের যেসব স্থান ভিওনের কার্যক্রমের আওতাধীন সেসব স্থানের আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বাংলালিংকের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার এরিক অস বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও সহযোগিতা পেলে এ সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোক্তারা সমৃদ্ধশালী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে অবদান রাখতে পারবে। অনেক আগ্রহী উদ্যোক্তাকে তাদের নিজ নিজ উদ্যোগকে সামনে এগিয়ে নিতে সহায়তা করার মাধ্যমে বাংলালিংক আইটি ইনকিউবেটর ইতোমধ্যেই একটি দৃষ্টান্তমূলক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে। দেশের প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে বাংলালিংক ভবিষ্যতেও সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা করে যাবে। ’
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ‘দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, কঠোর পরিশ্রম ও উদ্ভাবনী প্রয়াসের মাধ্যমে যে প্রতিভাবান তরুণ উদ্যোক্তারা এ পর্যায়ে পৌঁছেছে তাদের মধ্যে এসে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা যদি এ সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের সন্ধান করে এনে তাদের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে পারি তাহলে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে তারা আরও বেশি উৎসাহী হবে। উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সঠিক নির্দেশনা দেওয়ার জন্য বাংলালিংক ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথোরিটির সহকর্মীরা সত্যিই আমাদের প্রশংসার দাবিদার। ’
২০১৬ সালের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনস ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল হওলিন ঝাও আইটি ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেন। গত দু’বারের আয়োজনে মোট ১৬টি স্টার্টআপকে সহায়তা দিয়েছে বাংলালিংক আইটি ইনকিউবেটর।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
এমআইএইচ/এসকে/আরবি/