শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরায় ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের (আইইউবি) নিজস্ব ক্যাম্পাসে দু’দিনের জাতীয় হ্যাকাথনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, তরুণরা তাদের উদ্ভাবনী চিন্তা চেতনা সাহস দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চলেছে।
মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের মতো তেল বা অন্য দেশের মতো আমাদের স্বর্ণের খনি নেই। আমাদের রয়েছে প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তি দিয়েই আমরা সম্পদ আহরণের দিকে এগিয়ে যাবো।
তিনি আরও বলেন, পরিচ্ছন্ন ঢাকা শহর গড়তে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টে সমস্যা সমাধানে প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী করতে হবে। গ্রামীন অবকাঠামো ও রাস্তা নির্মানে প্রযুক্তিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায় সেটির উদ্ভাবন দরকার বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সারাবিশ্বে বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে পরিচিত করাতে চাই আমরা।
তিনি বলেন, প্রযুক্তি খাতে নতুন নতুন উদ্ভাবনে সরকার বদ্ধপরিকর। বিশ্ব যতগুলো উদ্ভাবনী আছে সেগুলো পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে এসেছে। এক্ষেত্রে সব সময় আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তরুনদের এগিয়ে আসার আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, তরুণ প্রজন্ম তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে শুধু ১০টি নয় এরকম শত সমস্যা সমাধান করবে। আগামীর বাংলাদেশ প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ হবে বলেও তারা মনে করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার বিশ্বদীপ দে ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান টেক মাহিন্দ্রা লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্সের সভাপতি সুজিত বক্সী।
অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত প্রায় ১৫০ জন উদ্ভাবকের সমন্বয়ে ৫১টি দল দেশের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক উদ্ভাবনী সমাধানের লক্ষ্যে দিনব্যাপী জাতীয় হ্যাকাথনে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্য থেকে সেরা দশটি দলের হাতে সার্টিফিকেট তুলে দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এসএমএকে/এবি