ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’র ওয়েবসাইট উদ্বোধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২০
‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’র ওয়েবসাইট উদ্বোধন

ঢাকা: ইসলামিক দেশগুলোর সংগঠন ওআইসি’র ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০ ঘিরে বছরব্যাপী নানা আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।  এরই অংশ হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর  ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। আয়োজনের বিস্তারিত জানার পাশাপাশি এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের মাধ্যমে অংশ নেওয়া যাবে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল-২০২০-এর  বিভিন্ন আয়োজনে। 

রোববার (১ মার্চ) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ওয়েবসাইট  ও ক্ষণ গণনার উদ্বোধন করেন। এসময় তার সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলও ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বিভাগের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীরের সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন।  

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আয়োজনটি আমরা সফলভাবে শেষ করতে চাই। এর মাধ্যমে আমরা বিশ্ব দরবারে অনেক কিছুর জানান দিতে চাই। রোহিঙ্গা ইস্যুকে এর মাধ্যমে আরও তুলে ধরতে চাই। এটা খুব ইন্টেরেস্টিং ইভেন্ট হবে। বছর জুড়ে এই আয়োজনের নানা কর্মকাণ্ড চলবে। বাংলাদেশ যে 'ল্যান্ড অব অপরচুনিটি' সবার কাছে এই বার্তা পৌঁছে দিতে চাই। সারা মুসলিম জাহানের যুবরা যেন বাংলাদেশ সম্পর্কে ভালো ভালো বিষয় জানতে পারে। কারণ তারাই আগামী দিনে উদ্যোক্তা। তারা যেন বিভিন্ন উদ্যোগে বাংলাদেশকে বেছে নেয়।  

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, যেহেতু এ বছর মুজিববর্ষ পালিত হবে, আমরা ভাবলাম, এ বছর যদি এটাকে এখানে আনতে পারি তাহলে আমাদের যুবসমাজ আরও অনুপ্রাণিত হবে। বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে এটি আয়োজন করা যাবে। এই আয়োজনে ওআইসি এবং ওআইসির বাইরে মুসলিম দেশগুলো থেকে ১৫০ জন যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। তাদের নিয়ে আমরা কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভলান্টারি ক্যাম্প আয়োজন করবো। রোহিঙ্গা ইস্যুকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে আরও তুলে ধরতে কাজ করবে এই আয়োজন। আগামী ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করবেন। এ দিনটি বাছাই করার কারণ হচ্ছে, অতিথিরা আমাদের নববর্ষের আয়োজনও দেখতে পারবেন।  

অনুষ্ঠানে ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০-এর ব্যাপারে জানিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব আখতার হোসেন বলেন, ওআইসির সহযোগী সংগঠন ইসলামিক কর্পোরেশন ইয়ুথ ফোরাম প্রতি বছর এর সদস্য রাষ্ট্রগুলো থেকে একটি শহরকে ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষণা করে। গত বছর এটি ছিল কাতারের দোহায়। এরপর আমরা আবেদন করি। সংক্ষিপ্ত তালিকায় কাজাখস্তান ও তিউনিশিয়ার সঙ্গে আমরা ছিলাম। ইসলামিক কর্পোরেশন ইয়ুথ ফোরাম সবগুলো দেশে গিয়ে এই আয়োজন করার সক্ষমতা দেখেছে। আমরাও আমাদের সক্ষমতা দেখিয়েছি। এরপর আমাদেরকেই চূড়ান্তভাবে বাছাই করা হয়েছে।

অন্যদিকে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন বিভাগের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীর বলেন, যারা এই আয়োজনে অংশ নিতে চান, তারা এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আবেদন করবেন। যাচাই-বাছাই করে সেখান থেকে ১৫০ জনকে আমরা নির্বাচিত করবো। এদের মধ্যে থেকে আবার ১০ জনকে 'মুজিব ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড' দেওয়া হবে। ইনোভেশন, এনভায়রনমেনট, হিউম্যানিটারিসম, পার্সোনাল একমপ্লিশমেন্ট এবং এন্টাপ্রিনীয়র্শিপ এসব ক্যাটাগরিতে বাছাই করা হবে। ওয়েবসাইটে আয়োজনের বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া আছে।  

‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর  ওয়েবসাইট: https://www.dhakaoyc2020.org/

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১,২০২০
এসএইচএস/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।