ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে সহায়তা দেবে আইসিটি বিভাগ: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪২ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
ভিডিও প্রেস কনফারেন্সে সহায়তা দেবে আইসিটি বিভাগ: পলক

ঢাকা: সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়য়, বিভাগ এবং দপ্তর ভিডিও প্রযুক্তিতে প্রেস কনফারেন্স করতে চাইলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ সব ধরনের সহযোগিতা দেবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের জন্য আইসিটি বিভাগ পুরোপুরি প্রস্তুত বলে দাবি করেন তিনি।

শুক্রবার (২০ মার্চ) করোনা সংক্রমণের পর সরকারি পর্যায়ে প্রথমবারের মতো এক ভিডিও প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে আইসিটি বিভাগ। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জনতা টাওয়ার থেকে আয়োজিত এ ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।


 
এই ভিডিও সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পলক বলেন, আমরা প্রথমবার এ ধরনের ভিডিও প্রেস কনফারেন্স করছি। আশা করি এই দৃষ্টান্ত অন্য বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর অনুসরণ করবে। তাদের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এটা অনুসরণ করতে পারে যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এর জন্য সরকারের অফিসগুলো চাইলে তাদের ভিডিও প্রেস কনফারেন্সের জন্য আমরা সব ধরনের সহযোগিতা দেবো। সব ধরনের প্রযুক্তিগত ও লজিস্টিক সাপোর্ট দিতে আমরা প্রস্তুত।  
 
দুপুর ৩টা ৫ মিনিটে শুরু হওয়া এ ভিডিও কনফারেন্স তিন ঘণ্টারও বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এসময় আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী, ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এর সভাপতি শমী কায়সারসহ রাইড শেয়ারিং, শিক্ষা, ই-কমার্স, লজিস্টিক প্ল্যাটফর্ম, টেলিকম খাতের শীর্ষ ব্যক্তি এবং দেশের আইসিটি খাতে কাজ করা গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
 
বিভিন্ন সরকারি সেবা গ্রাহকদের প্রযুক্তির মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব জানিয়ে এন এম জিয়াউল আলম বলেন, সবাই যেন ঘরে বসে সেবা পায় সেটি নিশ্চিত করা দরকার। এটি অনেকখানি সম্ভব। দেশের খুব রিমোট ইউনিয়ন বাদে সব ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি আছে। সেসব ইউনিয়ন সেন্টার থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে নাগরিকেরা নানান সেবা প্রযুক্তির মাধ্যমে নিতে পারবেন। সরকারের বিভিন্ন কার্য সম্পাদনের জন্য ইতোমধ্যে ই-নথি আছে।
 
এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী বলেন, আমরা ই-লার্নিং এর দিকে যেতে পারি। ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ) উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে এবং মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সেকেন্ডারি পর্যায়ে পড়াশোনা ই-লার্নিং নিয়ে আসতে কাজ করছে। করোনার এমন পরিস্থিতিতে আমাদের আচরণগত পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের প্রযুক্তির সঙ্গে একীভূত হতে হবে।
 
ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী করোনা পরিস্থিতিতে একটি ‘সিচুয়েশন রুম’ গঠনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, আমরা সরকারের কাছে আবেদন করি যেন সবশেষ তথ্য জোগাড় করে বিশ্লেষণ করা হোক। এর জন্য একটি ‘সিচুয়েশন রুম’ গড়ে তোলা যেতে পারে। এটুআই এটি বাস্তবায়ন করতে পারে। ইউএনডিপি বিভিন্ন ধরনের সহায়তা করবে। সিচুয়েশন রুম থেকে সবশেষ সঠিক তথ্যও পাবো আমরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২০
এসএইচএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।