ঘরে মধ্যেও হানা দিতে পারে প্রচণ্ড সংক্রামক এ ভাইরাস। তাই সংশ্লিষ্টরা নিরাপদ থাকার বেশ কিছু পথ বাতলে দিচ্ছেন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য।
‘শিখবে সবাই’য়ের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আবদুল কাদের বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম খুবই প্রয়োজন, সব মানুষের মতো। এতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক থাকে। আর করোনার মত ভাইরাস মোকাবেলার জন্য শরীরে ভালো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা থাকা জরুরি।
এছাড়া ফ্রিল্যান্সারদের সারাদিন কাটে বিভিন্ন গ্যাজেটের সঙ্গে। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে সব গ্যাজেট এন্টিসেপটিক বা ভালো ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত। শুধু গ্যাজেট নয়, ওয়ার্কপ্লেস বা যে রুমে বসে কাজ করেন, সেটি সব সময় পরিষ্কার এবং শুকনো রাখতে হবে।
বাদ দিতে হবে ফাস্ট ফুড বা রেডি ফুড গ্রহণের অভ্যাস। এটি যতটুকু নিয়ন্ত্রণ করা যায় ততো ভালো। বাসায় রান্না করা খাবারের মেনুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক সবজি এবং আমিষ রাখতে হবে। অসুস্থ হলে বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। বাইরে গেলে পরিষ্কার হয়ে যাওয়া এবং বাইরে থেকে ফিরে সাবান দিয়ে ভালো মতো পরিষ্কার করে নিজের ঘরে ঢোকা উচিত। হাঁচি-কাশি থাকলে মাস্ক পরে থাকা উচিত। টিস্যু ব্যবহার করে নির্ধারিত ময়লার বাক্সে ফেলা উচিত। ঝুঁকিপুর্ণ বা অসুস্থ মানুষের কাছে হতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
করোনায় ফ্রিল্যান্সারদের স্বাস্থ্য সচেতনতা নিয়ে ডা. ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, প্রতিকার অপেক্ষা প্রতিরোধ শ্রেয়। করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন থাকলে এর বিস্তার অনেকটাই কমানো সম্ভব। ফ্রিল্যান্সাররা বিশাল ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের অংশ। তাই সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তারা নিঃসন্দেহে অনেক বড় ভূমিকা রাখতে পারবেন তাদের কাজের মাধ্যমে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা, কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া, সেলফ কোয়ারেন্টাইন মেনে চলা এই সাবধানতাগুলো অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
এছাড়া নিজেরা মেনে চলার পাশাপাশি এই বার্তাগুলো অনেক মানুষের কাছে পৌঁছে দিত হবে। প্রতিটি মানুষের নিজ নিজ জায়গা থেকে ভূমিকা রয়েছে এই মহামারি মোকাবেলায়।
কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসে দেশে এখন পর্যন্ত ২ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ জনের মতো। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রত্যেককে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২০
ইইউডি/এমকেআর