সোমবার (১৩ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই জানানো হয় আইসিটি বিভাগের পক্ষ থেকে। এতে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘কল ফর ন্যাশন’ শীর্ষক এক প্লাটফর্মের উদ্বোধন করেন।
এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের দেশে অনেক প্রতিভাবান তরুণ আছেন। তাদের কেউ কেউ বিজ্ঞানী, উদ্ভাবক বা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নভেল করোনা ভাইরাসের ফলে যে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, আমার বিশ্বাস, আমাদের তরুণদের উদ্ভাবন ও নেতৃত্ব দিয়েই এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। একারণে এই প্লাটফর্মে আমি তাদের সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশকে কিছু দেওয়ার, এটাই তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ সুযোগ।
হ্যাকাথনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উদ্ভুত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে অনলাইন হ্যাকাথনে সর্বমোট ৬টি বিষয় নিয়ে কাজ করা যাবে। এই বিষয়গুলো হচ্ছে স্যোসিও ইকোনোমিক্যালি ডিজএ্যাডভানটেজ পিপল, বিজনেস অপারেশন এন্ড প্রোডাকশন, হেলথ কেয়ার ইকুয়পমেন্ট এন্ড ট্রিটমেন্ট, এ্যাকসেস টু ইনফরমেশন, মেন্টাল হেলথ এন্ড আদার্স। এর মধ্যে ‘আদার্স’ ক্যাটাগরিটিতে বর্তমান পরিস্থিতিতে সৃষ্ট হওয়া যে কোন সমস্যা নিয়ে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এই সকল সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশের তরুণদের কাছ থেকে উদ্ভাবনী আইডিয়া, প্রকল্প, পরিকল্পনা প্রভৃতি চাওয়া হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নির্বাচিত ১০টি উদ্ভাবনকে আর্থিক সহযোগিতার জন্য সিড ফান্ড, কাঁচামালের যোগান বা উদ্যোগগুলোকে জাতীয় পর্যায়ে পরিচিত করার সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, https://callfornation.com/ লিংক থেকে হ্যাকাথন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা ও নিবন্ধন করা যাবে। অংশগ্রহণকারী এককভাবে বা দলগত ভাবেও হ্যাকাথনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। আগ্রহীদের অবশ্যই উদ্ভাবনীর প্রোটোটাইপসহ ২০ এপ্রিল এর মধ্যে প্রস্তাবিত প্রকল্প জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৪, ২০২০
এসএইচএস/এমকেআর