ডিভাইসটি সম্পর্কে ট্যাসলক কর্তৃপক্ষ জানায়, এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে পারে। অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ারের উদ্ভাবক ট্যাসলকের কর্ণধার রাদবী রেজা বলেন, করোনা ভাইরাস সারা পৃথিবীতে আতঙ্কের নাম।
অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ডিভাইসটি চালু বা বন্ধ করার কোন ঝামেলা নেই। এর মধ্যে সেন্সর রয়েছে। ফলে মানুষ প্রবেশ করলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে এটি চালু হয়ে যাবে। আবার মানুষ সরে গেলেই এটি বন্ধ হয়ে যাবে। যে স্প্রেয়ারটি এ ডিভাইসে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি এত নিখুঁতভাবে স্প্রে করতে পারে যে এতে ভিজে যাওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই। সহজে বহন করা যায় বলে যেকোনো স্থানে এ ডিভাইসটিকে স্থাপন করে ব্যবহার করা যায়। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকলেও ১২ ভোল্টের ব্যাটারি দিয়েও এ ডিভাইসকে চালু করে ব্যবহার করা যাবে।
এই ডিভাইসে বিদ্যুৎ খরচ সামান্য বলে দাবি ট্যাসলক কর্তৃপক্ষের। তাই ডিভাইসটির ইন্সটলেশনে বিল বাড়বে এমন আশঙ্কাও নেই। তাছাড়া এ ডিভাইসটি শুধু মানুষ চলাচলের সময় সক্রিয় হয়। অন্যসময় বন্ধ থাকে। তাই সবসময় বিদ্যুৎ খরচ হয় না। শুধু হাত নয়, মানুষের সারা শরীর এমনকি জুতাও এ স্প্রেয়ারের মাধ্যমে জীবাণুনাশক করা সম্ভব। অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার ৩৬০ ডিগ্রি রোটেশনে পুরো শরীর জীবাণুমুক্ত করতে পারে।
এরই মধ্যে কুমিল্লা পুলিশ লাইনে ডিভাইসটির কার্যকারিতা সফলভাবে পরীক্ষা করা হয়েছে। অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার ব্যবহার করার সময় বিশেষ সতর্কতার জন্য চোখ এবং মুখ বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ডিভাইসটির উদ্ভাবক রাদবী রেজা।
তিনি বলেন, বাসা বা কর্মস্থলের প্রবেশদ্বারে ঝুলিয়ে বা কোন স্ট্যান্ডে রেখেও এ ডিভাইসটি ব্যবহার করা যাবে। মাত্র ১০ সেকেন্ডেই পুরো শরীরে এ স্প্রেয়ার দ্বারা স্যানিটাইজ করা যাবে। এরইমধ্যে প্রায় ৩০০টি ডিভাইস বিক্রি হয়েছে।
শতভাগ রাসায়নিকমুক্ত এ ডিভাইসটির মূল্য তিন হাজার ৯৯৯ টাকা। রাজধানীতে বিনামূল্যে হোম ডেলিভারি সেবা মিলবে। চাইলে বিশেষ ব্যবস্থায় ঢাকার বাইরেও এ ডিভাইসটি কুরিয়ার করে পাঠানো যাবে। সরকারি সহায়তা পেলে ডিভাইসটির উৎপাদন খরচ অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব বলেও জানান ট্যাসলকের স্বত্তাধিকারী রাদবী রেজা।
ভিডিওতে অটোমেটিক অ্যান্টি করোনা স্প্রেয়ার সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০২০
এসএইচএস/ওএইচ/