অনুষ্ঠিত এ সামিটে বিটিআরসি, ওকলা ও উইন্ডসোর প্লেসের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। তারা ফাইভ-জি’র বৈশ্বিক ইকোসিস্টেম, আর্কিটেকচার, স্পেকট্রাম এবং স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন আউটলুকের ওপরে আলোচনা ও মত বিনিময় করেন।
সামিটে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক, বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান, বিটিআরসি’র স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম, হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট চেন মিংজি (জে); হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান
নির্বাহী ঝাংঝেং জুন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার (সিটিও) জেরি ওয়াং, উইন্ডসোরের পক্ষে স্কট ডব্লিউ. মাইনহেন এবং ওকলার পক্ষে ভিক্টর জেং ও আরভিন মোগানাসহ বাংলাদেশ ফাইভ-জি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
ফোরজি, ফাইভ-জি, এআই ও আইওটি অর্থনীতি এবং সমাজের জন্য কীভাবে বিভিন্ন সুযোগের দ্বার উন্মোচন করতে পারে তার ওপরে সামিটে আলোকপাত করেন বক্তারা। করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয়ে টেলিযোগাযোগ খাতের গুরুত্বের কথাও তাদের আলোচনায় উঠে আসে। আলোচনায় আরও উঠে আসে, ফোরজি/ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক শুধুমাত্র অত্যাধুনিক যোগাযোগ সেবার ভিত্তিই নয়, পাশাপাশি, এ প্রযুক্তি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান করবে এবং শিল্পখাতে বড় ধরণের ডিজিটাল রূপান্তর ত্বরাণ্বিত করবে।
সামিটে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক বলেন, পুরো পৃথিবীই এখন এক প্রতিকূল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এ সময়ে অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমরা যখন ভবিষ্যতের নানা সুযোগ উন্মোচনে যুগান্তকারী উদ্ভাবনী সব প্রযুক্তি নিয়ে আসার দ্বারপ্রান্তে রয়েছি ঠিক এমন সময়ই কোভিড-১৯ আমাদের আক্রমণ করলো। সরকার ফাইভ-জি’র গুরুত্ব অনুধাবন করে পরিস্থিতি বিশ্লেষণের মাধ্যমে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। ফাইভ-জি’র মাধ্যমে আমরা প্রবৃদ্ধির নতুন উপায় খুঁজে পাবো। আমি এ সামিট আয়োজকদের ধন্যবাদ দিতে চাই, এ প্রতিকূল সময়েও তারা এ রকম একটি উদ্যোগ নিয়ে এসেছে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম বলেন, আগামী বছরেই আমরা ফাইভ-জি সেবা চালু করার পরিকল্পনা করছি। দেশের টেলিকম অপারেটেদের সে অনুযায়ী স্পেকট্রামও বরাদ্দ দেওয়া হবে। কোভিড-১৯ এর সময়ে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন ব্যবহার অনেক বেড়েছে। আর এ সময়ে হুয়াওয়ে অপারেটরদের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক সরঞ্জামাদি দিয়ে সহায়তা করছে। যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
জে চেন বলেন, প্রযুক্তির সময়োপোযোগী ব্যবহার সর্বোত্তম ফল নিয়ে আসতে পারে। এবং প্রযুক্তির উৎকর্ষতা মানবতার জন্যই। তাই আইসিটি ইকোসিস্টেমে আরও অবদান রাখতে হুয়াওয়ে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব ও কর্মীদের বিনিয়োগ করে চলেছে। ইতোমধ্যেই, তথ্য ও যোগাযোগ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এ অভূতভূর্ব সংকটের সময় সরকার, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও জনগণের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যাতে করে সবার যূথবদ্ধতায় ভাইরাসটিকে পরাজিত করা যায়। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের সবার যৌথ প্রচেষ্টায় খুব শিগগিরই আমরা এ কঠিন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার মো. আমিনুল হাসান বলেন, বাংলাদেশে এ রকম সময়োপযোগী একটি অনলাইন ডিজিটাল সামিট আয়োজনের জন্য হুয়াওয়েকে আমি ধন্যবাদ জানাই। এ সামিটে অংশগ্রহণকারী সবাই বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেছেন, বিশেষ করে, কোভিড-১৯ এর এই প্রতিকূল সময়ে ফাইভ-জি’র সহায়তায় প্রযুক্তি কীভাবে অর্থনীতি ও সমাজকে বেগবান রাখতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২০
আরআইএস/