হুয়াওয়ে ক্লাউডের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের পরিচালক মার্ক চ্যান বলেন, ‘গো ক্লাউড, গো গ্লোবাল’ প্রতিপাদ্যের এ সামিটটিতে ইকোসিস্টেমের বিস্তৃতির জন্য সামনের পরিকল্পনাগুলোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়, যেখানে হুয়াওয়ে ব্যবহারকারী, গ্রাহক, শিক্ষার্থী, বিশেষজ্ঞ, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এ খাত সংশ্লিষ্ট সদস্যদের একত্রিত করে সমন্বিত সহযোগিতার জন্য হুয়াওয়ের ক্লাউড, এআই, ফাইভজি ও ইন্টারনেট সমাধানের সুবিধাগুলো তুলে ধরবে। এ পরিকল্পনাগুলোর আওতায় বৈশ্বিক হুয়াওয়ে মোবাইল সার্ভিস (এইচএমএস) ইকোসিস্টেম প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে।
‘বৈশ্বিক কানেক্টিভিটি, সেবা ও ইকোসিস্টেমের সুবিধার জন্য হুয়াওয়ে ক্লাউড বৈশ্বিকভাবে সহজলভ্য, বিশ্বাসযোগ্য, উন্মুক্ত প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এসেছে যা ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে আন্তর্জাতিক পরিসরে তাদের ব্যবসার বিস্তৃতিতে সহায়তা করবে,।
হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিকের ক্যারিয়ার বিজনেস অ্যান্ড নেটওয়ার্ক কন্সালট্যান্সি বিভাগের পরিচালক ঝ্যাং জিং বলেন, বর্তমানে বিশ্বের ৫০০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২২৮টি ও শীর্ষ ১০০ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের ৫৮টি প্রতিষ্ঠান তাদের ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য হুয়াওয়েকে তাদের বিশ্বস্ত অংশীদার হিসেবে বেছে নিয়েছে। ইকোসিস্টেম, অংশীদার ও ডেভেলপাররা হুয়াওয়ে ক্লাউড থেকে বিভিন্ন সেবা সুবিধা নিতে পারেন। যেমন- ইন্টেলিজেন্ট অ্যাপ্লিকেশনসগুলোকে সহায়তার জন্য এআই, ফাইভজি ও বিগ ডেটা সুবিধা। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের অনেক প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ধারাবাহিক সমর্থনে সফলভাবে বিশ্ব পরিসরে গিয়েছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং বৈশ্বিক টেলিকমগুলোর মধ্যে একটি জোট তৈরি করার উদ্দেশে নিজেদের একটি বিশেষ প্রোগ্রাম ঘোষণা করেছে হুয়াওয়ে। যেখানে ইন্টারনেট সেবাদাতারা হুয়াওয়ের বিশ্বজুড়ে ব্যবসা পরিচালনা ও এই অঞ্চলে এর ২০ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নিজেদের বিস্তার ঘটাতে পারবে।
‘স্থানীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশীদারিত্বের প্রক্রিয়াকে সহজ করতে একটি ইকোসিস্টেম নির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করছে হুয়াওয়ে,।
তিনি বলেন, এর ফলে নতুন নতুন বাজারে তারা খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারবে। ’
অভ্যন্তরীণ অংশীদারেরা হুয়াওয়ের বিস্তৃত পরিসরের সহায়তার বিষয়টিকে প্রশংসা করেছে।
সামিটে ১০টিরও বেশি এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের বিশেষজ্ঞরা যুক্ত হয়ে এ খাতের সামগ্রিক চিত্র নিয়ে তাদের মতামত ও এর পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোকপাত করেন। এর পাশাপাশি ইকোসিস্টেমের গুরুত্ব যেখানে তথ্য ও উদ্ভাবন এবং মেধার চর্চা করা হবে তা নিয়েও কথা বলেন।
এছাড়া, বিভিন্ন মাত্রায় ডিজিটাল রূপান্তরের সহায়তার জন্য হুয়াওয়ের বিভিন্ন সমাধান এবং প্রযুক্তি খাতের বিকাশে সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ১৩, ২০২০
আরআইএস/