বিটিআরসি বলছে, খরচ বাড়লে ১ জুলাই থেকে বাড়বে। কিন্তু এর আগেই বাড়ানোর কারণে চিঠির জবাব সন্তোষজনক না হলে সব ধরনের অনাপত্তিপত্র (এনওসি) দেওয়া বন্ধসহ সব সেবা ও শুল্ক অনুমোদন বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে শনিবার (১৩ জুন) এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. জাকির হোসেন খান।
এ বিষয়ে বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে জনস্বার্থে অপারেটরগুলোর কাছে জানতে চাইতেই পারি। আমরা তো বাড়াতে বলিনি। মার্কেটে বেড়ে গেলে জানতে চাইতে পারি। চিঠির জবাব পেলে পরে নীতিগত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। ’
গত ১১ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল আসন্ন বাজেটে মোবাইল ফোনের সিম কার্ডের সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন।
৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর ফলে মোবাইল ফোনের সেবায় ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ১ শতাংশ সারচার্জ, ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং অন্য খরচ মিলে ২৭ দশমিক ৭৭ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৩ দশমিক ২৫ শতাংশ।
মোবাইল ফোন অপারেটররা বলছে, আগে ১০০ টাকা খরচ করলে সরকারকে ২১ টাকা ৫৭ পয়সা দিতে হতো। ৫ শতাংশ সম্পুরক শুল্ক বাড়ায় এখন তা হবে ২৪ টাকা ৯৫ পয়সা। এ বাড়তি খরচ ১১ জুন দিনগত মধ্যরাত থেকেই কার্যকর হয়েছে।
তবে ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে ভ্যাট ৫ শতাংশ হওয়ায় ডেটা ব্যবহারে কিছুটা কম খরচ হবে বলে জানান অপারেটররা।
বিটিআরসির সর্বশেষ মার্চ মাসের হিসেবে, বর্তমানে দেশে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহক সংখ্যা ১৬ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার। আর ইন্টারনেট গ্রাহক ১০ কোটি ৩২ লাখ ৫৩ হাজার।
বাজেট প্রস্তাবে শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানো নিয়ে গ্রাহকের অসন্তোষের মধ্যে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো তা প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২০
এমআইএইচ/এফএম