রোববার (২১ জুন) থেকেই এসব যানবাহন চলার অনুমতি দিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে ২৬ মার্চ হতে সাধারণ ছুটির দিন থেকে গণপরিবহনের সাথে রাইড শেয়ারের বাহনগুলোও বন্ধ ছিল।
এতে বলা হয়, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিকালীন রাইড শেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার জন্য বিআরটিএ থেকে রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানের অ্যাপস ব্যবহার করে শুধুমাত্র রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স (মোটরসাইকেল ব্যতীত) স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ২১ জুন থেকে ঢাকা মেট্রো, গাজীপুর মেট্রো, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী ও গাজীপুর জেলা এলাকায় চলাচলের জন্য অনুমতি প্রদান করা হলো।
‘রাইডশেয়ারিং সার্ভিস নীতিমালা-২০১৭’ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অ্যাপসের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং মোটরযান এনলিস্টমেন্ট সার্টিফিকেট ব্যতীত রাইডশেয়ারিং সার্ভিস পরিচালনার কোনো সুযোগ নেই।
তবে মোটরসাইকেলের অনুমতি দেয়নি বিআরটিএ। নির্দেশনা অমান্য করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত বর্তমান পরিস্থিতিতে রাইড শেয়ারিং অ্যাপসে র মাধ্যমে সামাজিক দুরত্ব মেনে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব নয় বিধায় রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে মোটরসাইকেল চলাচলের অনুমতি প্রদান সম্ভব হলো না।
করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যে সমস্ত মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্স রাইড শেয়ারিং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অ্যাপস ব্যবহারের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে; এরূপ এনলিস্টমেন্ট সাটিফিকেটপ্রাপ্ত ২৫৫টি মোটরযানের তালিকা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাইড শেয়ার সেবাদাতা উবার, পাঠাও, পিকমি, চালডাল, সহজ, আকাশ টেকনোলজি, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিস্টেম, ওভাই, ইজিয়ার টেকনোলজিস, আকিজ অনলাইন, সেগেস্তা লিমিটেডকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০২০
এমআইএইচ/এএ/এমএইচএম