মহামারি চলাকালীন টেলিযোগাযোগকে জরুরি সেবা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সে দিক থেকেও এই উদ্যোগটি গুরুত্ব বহন করে।
রবির কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য দৃঢ় রাখার ক্ষেত্রেও এই উদ্যোগটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। কারণ, তারা বাসা থেকে বের না হয়েও যেকোনো সময় একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন বলে শনিবার (২৭ জুন) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
শুধু তাই নয়; রবির কর্মকর্তা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে মাইক্রোসফটের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম-মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে সম্প্রতি যার যার ঘরে বসেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হয়েছে।
এছাড়া কোম্পানিটি মাইক্রোসফট টিমস ব্যবহার করে মহামারি সংক্রান্ত বিভিন্ন স্বাস্থ্য ও সামাজিক তথ্য তুলে ধরতে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞানভিত্তিক আলোচনার আয়োজন করছে। মাইক্রোসফটের ডিজিটাল সল্যুশন রবির কর্মকর্তাদের বিভিন্নভাবে যুক্ত রেখেছে, যা দুর্যোগকালীন মনোবল চাঙ্গা রাখতেও সহায়তা করছে।
রবির চিফ ইনফরমেশন অফিসার ড. আসিফ নাইমুর রশিদ বলেন, আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের জন্য রিয়েল-টাইম কমিউনিকেশন-নির্ভর একটি সহজ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে চাচ্ছিলাম; মাইক্রোসফট ৩৬৫ আমাদের ঠিক সেই সুযোগটিই করে দিয়েছে। মাইক্রোসফটকে বেছে নেওয়ার মাধ্যমে আমরা একটি আধুনিক কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি, যার ফলে আমাদের কর্মকর্তারা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছেন। রবি ও মাইক্রোসফটের নেয়া এই উদ্যোগটি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোকেও তাদের ডিজিটাল রূপান্তরের ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ তৈরি করেছে।
মাইক্রোসফট ৩৬৫ এর নিরবচ্ছিন্ন সেবার ফলে রবি আজিয়াটা সাধারণ সময়ের মতই এখনও দৈনন্দিন ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে। রবি দ্রুত ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মে কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে মহামারি চলাকালীন কোম্পানিটি এর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে সহযোগিতা এবং সমন্বয় অব্যহত রাখতে পেরেছে।
মাইক্রোসফট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী সব খাতেই কাজের ধরন এবং উৎপাদনশীলতায় পরিবর্তন আসায় আমাদের গ্রাহক এবং অংশীদাররা ক্লাউড কম্পিউটিং এবং প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যাবহারে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। আমরা রবির সঙ্গে কাজ এবং ক্লাউড-ভিত্তিক প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বাড়ানোয় সহায়তা করতে পেরে আনন্দিত। বাংলাদেশের প্রতিটি ব্যক্তি ও সংস্থা যেন আরো সক্ষমতা অর্জন করতে পারে এ লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মাইক্রোসফট (নাসডাক ‘এমএসএফটি’ @মাইক্রোসফট) ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড ও ইন্টেলিজেন্ট’র যুগে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এর লক্ষ্য হচ্ছে বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তি ও সংস্থা যেন আরও সক্ষমতা অর্জন করতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি