সোমবার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান মন্ত্রী।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা গত মার্চ মাসেই অনলাইন নিবন্ধনের উদ্যোগ নিয়েছিলাম।
রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের পত্রিকার অনুমোদনের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পত্রিকার অনুমোদনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতার বাধ্যবাধকতা নেই। সেটি ডিসি অফিসের মাধ্যমে হয়। এরপর চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) থেকে ডিক্লেয়ারেশন পায়। মেট্রিক পাস বা মেট্রিক পাস নয় এমন অনেক প্রত্রিকার প্রকাশক আছেন এবং অতিতেও ছিল। তাই পত্রিকা ডিক্লেয়ারেশনের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যবাধকতা নেই।
তিনি বলেন, সাহেদের পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন নিলেও সে পত্রিকা বের করেছেন কিনা তা সেটা খতিয়ে দেখছে ডিএফপি। সে ক্ষেত্রে যদি কোনো অনিয়ম হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর যদি অনিয়ম না হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে একটি বিষয়ে অবশ্যই বিবেচনা নিতে হবে যে একজন প্রতারকের হাতে পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন থাকবে কি না। আমরা সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবো।
অনলাইন নিবন্ধের যে রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এক্ষেত্রে সেরকম কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পরিকল্পনা আছে পত্রিকা ডিক্লেয়ারেশনের ক্ষেত্রে এখন যে পদ্ধতি বিদ্যমান আছে এটি এলে নিয়ন্ত্রণ করা। তবে আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ন্ত্রণ করা নয়। সেই ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হবে যাতে যার তার হাতে পত্রিকার ডিক্লেয়ারেশন বা পত্রিকা না চলে যায়। আবার কোনো প্রতারক তার প্রতারণাকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পত্রিকা বের করতে না পারে। পাশাপাশি পত্রিকার প্রচার সংখ্যা নির্ধারণ করার ক্ষেত্রেও যে পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। সেখানেও একটি স্বচ্ছতা আনা ও সেটিকে যোগপোযোগী করার পরিকল্পনা আমদের আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০০ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২০
জিসিজি/ওএইচ/