ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

করোনাকালে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০২ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
করোনাকালে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব ...

ঢাকা: বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) তিন হাজার ৩০৭ কোটি টাকা রাজস্ব অর্জন করেছে গ্রামীণফোন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ২ শতাংশ কম।

বুধবার (১৫ জুলাই) গ্রামীণফোন তাদের দ্বিতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদন প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২২ শতাংশ মার্জিন নিয়ে এ সময়ে প্রতিষ্ঠানের কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৩০ কোটি টাকা।

দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৫ দমমিক ৩৮ টাকা। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি ৪৫ লাখ, যার ৫৪ দমমিক ৮ শতাংশ বা চার কোটি আট লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী।

গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, বিগত চার মাস ধরে একটি নজিরবিহীন বৈশ্বিক মহামারি আমাদের কাজের ধরনের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। আমাদের কাজের ধরন থেকে শুরু করে গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হয়েছে। কোভিড-১৯ এর সাথে বৈরী আবহাওয়া ও রেগুলেটরি বাস্তবতার কারণে গত বছরের তুলনায় ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রাজস্ব অর্জনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

‘এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে সকল প্রতিকূলতা সত্ত্বেও আমরা দেশব্যাপী জরুরি সেবা নিশ্চিত করতে আমরা নিরবিচ্ছিনভাবে মোবাইল টেলিযোগাযোগ সেবা অব্যাহত রাখতে সমর্থ হয়েছি। সাইক্লোন আম্পানের বৈরী আবহাওয়ার সময় আমরা পার্টনার, স্টেকহোল্ডার, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, স্থানীয় সামাজিক প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে এক সাথে কাজ করেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত নেটওয়ার্ক দ্রুততার সাথে পুনস্থাপন করতে সমর্থ হয়েছি।

আজমান বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আমরা আমাদের সহযোগীদের নিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। ব্রাকের সাথে যৌথ উদ্যোগ ‘ডাকছে আমার দেশ’ এর মাধ্যমে আমরা এক লাখ পরিবারকে জরুরি খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছি। বিভিন্ন হাসপাতালে সম্মুখযোদ্ধা করোনা চিকিৎসকদের আমরা পিপিই প্রদান করেছি। প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তন ও আধুনিকায়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বিগত কয়েক বছরে আমরা কাজ করার নতুন নতুন পদ্ধতি দ্রুততার সাথে বাস্তবায়নের দক্ষতা অর্জন করেছি। এই মহামারির সময়ে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিরাপদে বাসায় থেকে কর্মীদের কাজ করার উৎসাহ দিচ্ছি।

গ্রামীণফোনের সিএফও ইয়েন্স বেকার বলেন, সাধারণ ছুটি থাকায় দেশের অর্থনীতির শ্লথ গতির কারণে ২০২০ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছে। তবে মে থেকে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন শুরু হয়েছে। ইন্টারনেট সেবায় প্রবৃদ্ধি ঠিক থাকলেও দ্বিতীয় প্র্রান্তিকে রাজস্ব অর্জন ও নেটওয়ার্কে গ্রাহক সংখ্যায় নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখেছি। তবে দেশের প্রযুক্তিখাতের উন্নয়নে আমাদের বিনিয়োগ অব্যাহত থাকবে, একই সাথে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সরকারকে আমাদের প্রযুক্তি সহযোগিতাও অব্যাহত থাকবে। আমরা আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে গ্রামীণফোনের পরিচালনা পর্ষদ পরিশোধিত মূলধনের ১৩০ শতাংশ অর্ন্তবর্তী লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ২৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সময়ে ১৩২টি নতুন ফোরজি সাইট স্থাপন করা হয়েছে। জুন শেষে মোট নেটওয়ার্ক সাইটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৫৫৭। দ্বিতীয় প্রান্তিক পর্যন্ত গ্রামীণফোন সরকারের কোষাগারে কর, ডিউটি, ফিস ও স্পেকটার্ম চার্জ বাবদ মোট রাজস্বের ৬৭ শতাংশ বা চার হাজার ৬৪০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০২০
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।