পটুয়াখালী: পটুয়াখালীতে সাবমেরিন ক্যাবল-২-এর ল্যান্ডিং স্টেশনের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়ায় দেশে ইন্টারনেটের গতি ৪০-৫০ শতাংশ কমে গেছে।
রোববার (০৯ আগস্ট) মধ্য রাতে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিসিএল)।
এরআগে, রোববার বেলা ১১টার দিকে কুয়াকাটার মাইটভাঙ্গা এলাকায় অবস্থিত সিমিউই-৫ সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের ক্যাবল কাটা পড়ে। তারপর থেকে দেশে ইন্টারনেটে গতি কমে গেছে।
এ বিষয়ে বিএসসিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান জানান, দ্রুততার সঙ্গে সংযোগ সচল করার কাজে চলছে।
>>>পটুয়াখালীতে সাবমেরিন ক্যাবলে ত্রুটির কারণে ইন্টারনেটে ধীরগতি
সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সূত্রে জানা যায়, ‘মূল ক্যাবল নয়, পাওয়ার ক্যাবল কাটা পড়েছে। ফলে রিপিটারে বিদ্যুৎ যাচ্ছে না। এজন্য ব্যান্ডউইথ পেতে সমস্যা হচ্ছে।
সাবমেরিন ক্যাবল-১ ও আইটিসির (ইন্টারন্যাশনাল টেরেস্ট্রিয়াল ক্যাবল) মাধ্যমে প্রাপ্ত ব্যান্ডউইথ দিয়ে আমরা ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছি। তাই ধীরগতি রয়েছে ইন্টারনেটে।
আইআইজি প্রতিষ্ঠান লেভেল-থ্রি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জুনায়েদ আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, পাওয়ার ক্যাবল কাটার পরপরই আমরা জানতে পারি। আমাদের জানানো হয়, সন্ধ্যা দিকে মেরামত কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জেনেছি কুয়াকাটা এলাকায় খারাপ আবহাওয়া বিরাজ করায় পাওয়ার ক্যাবল মেরামতে দেরি হচ্ছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ব্রডব্যান্ড (উচ্চগতি) ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা গতিবিষয়ক সমস্যায় পড়েছেন। এতে সেবার মান খারাপ হচ্ছে। গতি অনেক কমে গেছে।
তিনি আরও জানান, সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রায় ৬০ শতাংশ যোগাযোগ এখন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ১ হাজার ৭৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে। এর অর্ধেকের বেশি আসে দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল দিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২০
এনটি