ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বাংলালিংকে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ৩০.৩ শতাংশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
বাংলালিংকে ডেটা থেকে আয় বেড়েছে ৩০.৩ শতাংশ

ঢাকা: দেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক করোনা মহামারির কারণে সৃষ্ট নানামুখী চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ইতিবাচক ব্যবসায়িক ফলাফল অব্যাহত রেখেছে।
 
সোমবার (১০ আগস্ট) আয়োজিত এক ভার্চ্যুয়াল প্রেস কনফারেন্সে চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বাংলালিংকের ব্যবসায়িক ফলাফলের উপর বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অস।


 
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটা থেকে বাংলালিংকের আয় গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ৩০ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। ফোরজি নেটওয়ার্কে বাংলালিংকের চলমান বিনিয়োগ এই বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সহায়তা করেছে। উন্নত ও দেশব্যাপী সম্প্রসারিত এই নেটওয়ার্কের কারণে বাংলালিংকের ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও ডেটা ব্যবহারও গত বছরের একই প্রান্তিক সাপেক্ষে যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ও ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশের ফাসটেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে ওকলা-এর স্বীকৃতি অর্জনের ক্ষেত্রেও অবদান রেখেছে বাংলালিংকের ফোরজি নেটওয়ার্কের সক্ষমতা।
 
ডিজিটাল সেবার ব্যবহার বাড়ানোর লক্ষ্যে বাংলালিংক বিভিন্ন ডিজিটাল চ্যানেলের মাধ্যমে টপ আপ, অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট ও অন্য সেবার বিষয়ে গ্রাহকদের অবগত করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ফলে এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে সেলফ-কেয়ার অ্যাপ ও ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ ‘টফি’-এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় বেড়েছে যথাক্রমে ৫৮ শতাংশ ও ৬২ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, টেলিকম খাতের উপর করোনা মহামারির সামগ্রিক প্রভাবের ফলে বাংলালিংকের মোট আয় ও গ্রাহক সংখ্যা দ্বিতীয় প্রান্তিকে হ্রাস পেয়েছে। তবে এই সময়ে ডেটা ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও ডেটা থেকে আয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে সক্ষম হয়েছে বাংলালিংক।  
 
এরিক অস বলেন, মহামারি, সাইক্লোন ও বন্যার কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে গ্রাহকসেবা অব্যাহত রাখতে আমাদের আরও বেশি সচেষ্ট হতে হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়েই কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও গ্রাহকসেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার লক্ষ্যে আমরা ‘হোম অফিস’ মডেল কার্যকর করেছি। এখন সেই আন্তরিক প্রচেষ্টার ইতিবাচক ফলাফল দেখতে পেরে আমরা সত্যিই অনুপ্রাণিত বোধ করছি।  

‘বিশেষত, আমাদের ডিজিটাল সেবার ফলাফল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। আমাদের এই প্রচেষ্টার ফলে বছরের প্রথম ও দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশের ফাসটেস্ট মোবাইল নেটওয়ার্ক হিসেবে বাংলালিংক ওকলা-এর স্বীকৃতিও লাভ করেছে। বিস্তৃত ফোর-জি নেটওয়ার্ক এবং গ্রাহক প্রতি বেশি পরিমাণ স্পেকট্রামসহ আমাদের অন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ফলাফল হলো এই পুরস্কার। বিশেষ এই অর্জনটিকে আমরা সম্মানিত গ্রাহকদের উৎসর্গ করতে চাই। তাদের নিরন্তর সমর্থন আমাদের ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সামনে এগিয়ে যেতে উৎসাহ দিয়ে আসছে। ’
 
তিনি মহামারির সময় বাংলালিংকের নেওয়া উদ্যোগগুলি তুলে ধরেন। এই উদ্যোগগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ফ্রি করোনা হটলাইন নম্বর চালু করা, ‘টিচ ইট’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ই-লার্নিংয়ের ব্যবস্থা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ভার্চ্যুয়াল ইন্টার্নশিপ ও সেমিনারের আয়োজন এবং  বাংলাদেশ সেনা কল্যাণ সংস্থা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) এরিক অস সিগনিফিক্যান্ট মার্কেট পাওয়ার গাইডলাইন (এসএমপি) বাস্তবায়নের জন্য স্বাগত জানান। এই উদ্যোগকে তিনি টেলিকম খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন। ভবিষ্যতে নতুন ও উন্নতমানের ডিজিটাল সেবা ও প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে গ্রাহকদের ডিজিটাল অভিজ্ঞতাকে আরও বেশি উপভোগ্য করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
 
ভার্চ্যুয়াল প্রেস কনফারেন্সটিতে আরও যুক্ত ছিলেন বাংলালিংকের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান, চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার জেম ভেলিপাসাওগ্লু, সেলস অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসার জুবায়েদ উল ইসলাম ও প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের অন্য সদস্যরা।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২০
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।