ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে অংশ নেবে বাংলাদেশের ৯ দল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০২০
নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে অংশ নেবে বাংলাদেশের ৯ দল

ঢাকা: যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিতব্য নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জ-২০২০ এর মূল প্রতিযোগিতায় দেশ থেকে নয়টি দল অংশ নেবে। বাংলাদেশ পর্বে তিন দিনব্যাপী আয়োজন শেষে দেশের বিভাগ ও জেলা পর্যায় থেকে নয়টি দলের নাম ঘোষণা করা হয়।

প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে বাংলাদেশের কোনো এক বা একাধিক দল বিজয়ী হলে মূল আসরে অংশ নেবে সেই দল।  

রোববার (৪ অক্টোবর) অনলাইন আয়োজন থেকে ৯টি বিভাগ থেকে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ দলের নাম প্রকাশ করা হয়। বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির দলগুলোর নাম ঘোষণা করেন।

এগুলো হলো- বরিশাল বিভাগের চ্যাম্পিয়ন ভ্যাকপিকার ও রানার আপ ওজোন, চট্টগ্রাম বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ওরিয়ন সিক্স ও রানার আপ টিম ফোর ফ্রন্টিয়ারস, কুমিল্লা জেলায় চ্যাম্পিয়ন প্রাইম স্পেসএক্স ও রানার আপ টিম ফ্লাশিং রেড, ঢাকা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন বুয়েট জেনিথ ও রানার আপ এস২১ এআরএসবি/এইচএএম এসওএস সিওএম, খুলনা বিভাগে চ্যাম্পিয়ন ফ্লাই হাই ও রানার আপ মহাকাশ, ময়মনসিং জেলায় চ্যাম্পিয়ন লিজেন্ড অফ লেগাসি ও রানার আপ ট্রোজানস, রাজশাহী বিভাগে টিম ইনকগনিশন ও রানার আপ টিম নোব্বো, রংপুর জেলায় টিম শকওয়েভ ও রানার আপ ও রানার আপ ফ্লিট্যাক্স এবং সিলেট বিভাগের চ্যাম্পিয়ন সিলিকনলিলি।  

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) উদ্যোগে আয়োজিত বাংলাদেশ পর্বের সমাপনী অংশে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  

এসময় তরুণদের উৎসাহ যুগিয়ে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যার প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনী সমাধানে সরকার দেশের শিক্ষার্থী ও তরুণদের সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। দেশের মেধাবী তরণরাই আগামীতে দেশীয় ও বৈশ্বিক বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে বিশ্বে বাংলাদেশকে উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে পরিচয় করাবে। দেশে উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য সরকার উদ্ভাবন ও স্টার্টআপকে উৎসাহিত করছে। ইতোমধ্যে ১৩০টি স্টার্ট আপকে অর্থায়ন করা হয়েছে। আরও স্টার্টআপকে অর্থায়ন করার জন্য স্টার্টআপ কোম্পানি গঠন করা হয়েছে। আইসিটি বিভাগ বুয়েটে একটি রোবোটিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করে দিয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তিতে গবেষণা করার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশের তরুণরা নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। তারা আন্তর্জাতিক ব্লকচেইন অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ছয়টি মূল পুরস্কারের মধ্যে একটি সিলভার ও একটি বেস্ট প্রেটোটাইপ অ্যাওয়ার্ড এবং ১২টি দলই অ্যাওয়ার্ড অব মেরিট পেয়েছে।  

পলক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখা হাসিনার নিরলস শ্রম এবং তারই তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পথ নকশায় ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে অভূতপূর্ব উন্নতি হওয়ায় করোনাকালেও কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এমনকি ভার্চুয়ালে আদালত পরিচালনা করে সব কিছুই স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত হচ্ছে নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জ। বাংলাদেশ পর্বের প্রতিযোগিতা আয়োজনের পার্টনার আইসিটি ডিভিশন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), এলআইসটি প্রকল্প এবং ক্লাউড ক্যাম্প। নাসা আন্তর্জাতিকভাবে এ বছর বিশ্বের ২৫০টি শহরে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করছে, এরমধ্যে বেসিস বাংলাদেশের নয়টি শহরে ২-৪ অক্টোবর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০২০
এসএইচএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।