ঢাকা: কারো ফেসবুক আইডি হ্যাক হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ থেকে ভুক্তভোগীকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
আইসিটি বিভাগের অধীন প্রতিষ্ঠিত হতে যাওয়া ‘সাইবার সিকিউরিটি হেল্প ডেস্ক’ থেকে এই সহায়তা পাওয়া যাবে বলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) নাটোরের সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এক ওয়েবিনারে যুক্ত হন জুনাইদ আহমেদ পলক।
‘ডিজিটাল নিরাপত্তায় মেয়েদের সচেতনতা’ শীর্ষক ওই ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পলক বলেন, এখন দেশে যত সাইবার ক্রাইম হয় তার মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ কিশোরী শিকার হচ্ছে।
সাইবার অপরাধে শিকার হওয়া কিশোরীদের মানসিকভাবে ভেঙে না পড়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি এ ধরনের পরিস্থিতির শিকার হয় তাহলে ৯৯৯ ফোন করে পুলিশের সহায়তা নিতে পারে।
তিনি আরও বলেন, কারো ফেসবুক হ্যাক হলে তাদের প্রযুক্তি ও আইনগত সহায়তা দিতে আইসিটি বিভাগের অধীন ‘সাইবার সিকিউরিটি হেল্প ডেস্ক’ প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ব্যবহারে আরও সচেতন এবং সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিয়ে পলক বলেন, শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও ফেসবুকের পাসওয়ার্ড দেওয়া ও সামাজিক মাধ্যমে কিছু শেয়ার করার বিষয়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। তা না হলে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হবে। পরিচয় যাচাই না করে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট গ্রহণ করা যাবে না। সাইবার স্পেসকে নিরাপদ রাখতে মূলত যে চারটি পূর্বশর্ত নিশ্চিত করতে হয়, সেগুলো হচ্ছে- প্রথমত, ব্যক্তিগত পর্যায়ে সচেতনতা তৈরি। দ্বিতীয়ত, পারিবারিক ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাদান। তৃতীয়ত, প্রযুক্তিগত সক্ষমতা। চতুর্থত, আইনের কঠোর প্রয়োগ।
সত্য-মিথ্যা যাচাই না করে ইন্টারনেটে কোনো কন্টেন্ট শেয়ার না করার জন্য সবার প্রতি আহ্বানও জানান প্রতিমন্ত্রী।
ওয়েবিনারে অন্যন্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সিসিএ নিয়ন্ত্রক আবু সাঈদ চৌধুরী, সিংড়া দমদমা পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. আনোয়ার ইসলাম আনু।
ওয়েবিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিসিএ উপ-নিয়ন্ত্রক হাসিনা বেগম।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২০
এসএইচএস/এএটি