ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ভিশন-২০২১

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের অঙ্গীকার ভিশন-২০২১ মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বিশ্বে একটি আত্মমর্যাদাশীল উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের যুগান্তকারী অঙ্গীকার হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ বা ভিশন-২০২১।

দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনীতিক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ একযুগ আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশন-২০২১ ঘোষণা করেছে, বিশ্বে এই কর্মসূচি আজ সমাদৃত ও অনুকরণীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) অনলাইনে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জিএসএম থ্রাইভ সম্মেলনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ: বিয়ন্ড ভিশন-২০২১’ শীর্ষক বক্তব্যে এসব কথা বলেন মোস্তাফা জব্বার।

তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিকে মূল উপকরণ হিসেবে প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য দূরীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, সুশাসন ও মানসম্পন্ন শিক্ষার মাধ্যমে সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সব ক্ষেত্রে আইনের সমান প্রয়োগ এবং বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি ভিশন-২০২১ এর অন্যতম লক্ষ্য।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে চালু হওয়া এক্সেস টু ইনফরমেশন প্রোগাম এই লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে অভাবনীয় অগ্রগতি অর্জনে সক্ষম হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার এবং বেসরকারি খাতের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে মোবাইল শিল্প এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে পঞ্চম বৃহত্তম অবস্থানে উপনীত হয়েছে। ২০২০ সাল পর্যন্ত নয় কোটি ব্যবহারকারীর মধ্যে ১৬ কোটি মোবাইল সংযোগ স্থাপিত হয়েছে। ২০১৫ সালে মোবাইল ইকোসিস্টেম জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ অর্জন করে যার পরিমাণ প্রায় ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ। ২০২০ সালের মধ্যে এই হার শতকরা ৮ ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা করছি।

দেশে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা শতকরা ৯৫ ভাগ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল গ্যাপ কমাতে ইন্টারনেটের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে মোবাইল অপারেটরদের ভূমিকার প্রশংসা করেন টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশে ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশে পরিচালিত বহুসংখ্যক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাল্টি মিডিয়া শ্রেণিকক্ষ মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। নারী-পুরুষের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য কমাতে ইন্টারনেট নারীদের জন্য বিরাট সুযোগ সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী উদ্যোক্তা প্রত্যন্ত এলাকা থেকেও ঘরে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন।

টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। মোবাইলসহ অন্যান্য ডিজিটাল প্রযুক্তি অর্থনীতির ব্লাড লাইনে পরিণত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০ 
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।