ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

তথ্য-অর্থের নিরাপত্তা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ: পলক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
তথ্য-অর্থের নিরাপত্তা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ: পলক জুনাইদ আহমেদ পলক

ঢাকা: বর্তমান বিশ্বে সব নাগরিক ও রাষ্ট্রের তথ্য ও অর্থের নিরাপত্তা দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।  

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের অধীন সাইবার ইন্সিডেন্স রেস্পন্স টিম (সিআইআরটি) গঠন করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) নিরাপদ তথ্য সেবার প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের (বিডিসিসিএল) সঙ্গে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সঙ্গে সেবা সংক্রান্ত এক চুক্তি সই হয়।

চুক্তিপত্রে বাংলাদেশ ডাটা সেন্টার কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদুর রহমান এবং রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম সাজেদুর রহমান খান ও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পক্ষে মো. সাঈদ নূর আলম নিজ নিজ পক্ষে সই করেন। এতে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সব নাগরিক ও রাষ্ট্রের তথ্য ও অর্থের নিরাপত্তা দেওয়া এখন বিশ্বের বড় চ্যালেঞ্জ। এসব প্রতিরোধে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইসিটি বিভাগের অধীন সাইবার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম (সিআইআরটি) গঠন করা হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত ও ডাটা সুরক্ষায় কাজ করতে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।

তথ্য ও অর্থের সংরক্ষণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে দেখা দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ডেটা সাইনটিস্ট তৈরির জন্যও আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। প্রযুক্তির কল্যাণে দ্রুত ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারের বিভিন্ন সার্ভিস বাড়ছে। এখন সরকারের ন্যাশনাল পোর্টালে ৪৩ হাজার ওয়েবসাইট রয়েছে। এগুলো ডেটা সেন্টারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। মাইগভ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনে ৬৪০টিরও বেশি সার্ভিস দেওয়া হচ্ছে।

কোভিড মহামারিতে সবকিছু বন্ধ থাকার পরেও ৮ মাসে ১০ লাখের বেশি ই-নথি সম্পন্ন হয়েছে। সরকারের সব কাজ ই-নথির মাধ্যমে সচল ছিল বলেও তিনি জানান।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আগামীদিনে তথ্য সংরক্ষণ ও বিশ্লেষণে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। নিরাপত্তার স্বার্থেই দেশের তথ্য দেশেই সংরক্ষণের তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন তথ্যের ব্যবহার ও সংরক্ষণের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি এর নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে।

তিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও অর্থ সংরক্ষের জন্য সাইবার ইন্সিডেন্স রেসপন্স টিম প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। সার্ট গঠনে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি সার্বিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২০
এসএইচএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।