ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে নীতিমালা আপডেট হচ্ছে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০২০
ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে নীতিমালা আপডেট হচ্ছে

ঢাকা: দেশের মানুষের জন্য ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সহজলভ্য করতে নীতিমালা আপডেট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

এলক্ষ্যে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেট মানুষের জীবনযাত্রায় লাইফ লাইন হিসেবে কাজ করছে।

প্রতিটি মানুষের জন্য উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার বদ্ধপরিকর। আমরা শিগগিরই ব্রডব্যান্ড নীতিমালা আপডেট করতে যাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক সংস্থা এলায়েন্স ফর অ্যাফের্ডাবল ইন্টারনেটের উদ্যোগে আয়োজিত ওয়েবিনারে ব্রডব্যান্ড নীতিমালা বিষয়ক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বুধবার (৯ ডিসেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ জানানো হয়।

ইন্টারনেটকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষার বাহন হিসেবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য ইন্টানেটকে রাষ্ট্রের জন্য একটি যথাযথ এবং বড় বিনিয়োগ। এরই ধারাবাহিকতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে এরই মধ্যে ৫৮৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ফ্রি ওয়াই ফাই জোনের আওতায় আনা হয়।

তিনি দেশে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বিকাশে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরে বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে দ্বীপ, চর, হাওরসহ প্রায় সব ইউনিয়নে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ সম্পন্ন করা হচ্ছে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে উচ্চ গতির ইন্টারনেট সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছি আমরা।

তিনি বলেন, দেশের এমন কোনো ইউনিয়ন থাকবে না যেখানে উচ্চগতির ইন্টারনেট থাকবে না। দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ১২ হাজার ৮০০ ফ্রি ওয়াইফাই জোন গড়ে তোলা হচ্ছে।

মন্ত্রী বলেন, গত প্রায় ১২ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে দেশে ইন্টারনেট সম্প্রসারণে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। ২০০৮ সালে দেশে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেটের দাম ছিলো ২৭০০ হাজার টাকা বর্তমানে ২৮৫ টাকা।
 
আগামী এক বছরের মধ্যে প্রতিটি মোবাইল টাওয়ার ৪জি নেটওয়ার্কের আওতায় আনার লক্ষ্যে কাজ চলছে। উচ্চগতির অপটিক্যাল ফাইভার ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক দ্বীপ, চর ও হাওরসহ দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে।

তিনি বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ আমদানিনির্ভর দেশ থেকে উৎপাদনকারী দেশে পরিণত হয়েছে। দেশে ১৪টি মোবাইল কারখানায় উন্নতমানের মোবাইল উৎপাদন হচ্ছে। বিদেশে রপ্তানির জন্য বাংলাদেশে ৫জি মোবাইল তৈরি হচ্ছে।

অনুষ্ঠানে এটুআই এর সিনিয়র পলিসি অ্যাডভাইজার আনির চৌধুরী, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহসিনুল আলম, এলায়েন্স ফর অ্যাফের্ডাবল ইন্টারনেটের কর্মকর্তা শহীদ উদ্দিন আকবর এবং এলানুর সারপঙ বক্তব্য দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০২০
এমআইএইচ/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।