ঢাকা: ‘ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশ অভাবনীয় সফলতা অর্জন করেছে। শতকরা প্রায় ৭০ শতাংশ করোনারোগী ঘরে বসে টেলিমেডিসিনের সেবা নিচ্ছেন।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) ঢাকায় এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘দেশি ভালোবাসি ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পেমেন্ট গেটওয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং নারী উদ্যোক্তা মানতাসা আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে এসএমই ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শফিকুল ইসলাম, নারী উদ্যোক্তা সুনিয়া বশির কবির এবং ওরাকলের কান্ট্রি ম্যানেজার রুবাবা দৌলা বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী দেশে মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিসের বিকাশকে বিস্ময়কর উল্লেখ করে বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল তৃণমূলের মাানুষও পাচ্ছে। ফলে প্রাত্যহিক লেনদেন ডিজিটাল হয়েছে এবং মোবাইল এক্ষেত্রে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে’।
‘অনলাইনের পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার মাধ্যমে গ্রাহকের পরিপূর্ণ আস্থা অর্জন করতে পারলে ডিজিটাল কমার্সের ক্ষেত্রে ক্যাশ অন ডেলিভারি বা পণ্য হাতে পাওয়ার পর টাকা পরিশোধের পরিমান কমে আসবে’। এক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘জাতীয় নেতৃত্বের দূরদর্শীতার অভাবে ১৯৮৯ সালে দেশে মোবাইলফোন চালু হলেও সাধারণের নাগালে পৌঁছাতে পারেনি। বিনামূল্যে সাবমেরিন ক্যাবল সংযোগ প্রত্যাখ্যান করায় ইন্টারনেট দুনিয়া থেকে বাংলাদেশকে প্রায় বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৭ সালে ৪টি মোবাইল অপারেটরকে লাইসেন্স দেওয়ার মাধ্যমে মোবাইলফোন সাধারণের নাগালে পৌঁছে যায়। ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটার সহজলভ্য করা হয়। তার প্রবর্তিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি গত ১২ বছরে বাংলাদেশকে বিশ্বের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশে পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ দুনিয়ায় বাংলাদেশের সংযোগ প্রতিষ্ঠায় গৃহীত কর্মসূচির মাধ্যমে জাতির পিতা ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে বীজ বপন করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তা আজ মহীরূহ হয়ে উঠেছে’।
তিনি ২০২১ সালের মধ্যে উচ্চগতির ইন্টারনেট দেশের প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচি তুলে ধরেন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি