ঢাকা: মাঘের শুরু থেকে ক্রমেই বাড়ছে শীত। দেশের বেশিভাগ অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলেছে।
দিনশেষে ২-৪ জন যাত্রীও হচ্ছে না। ফলে চরম অর্থ সংকটে দিন কাটছে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের। করোনা মহামারির সময় এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। এ দুঃসময়ের মধ্যেই শীত জেঁকে বসেছে রাইড শেয়ারিং সেবায়।
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) একাধিক রাইড শেয়ারিং ব্যবসায়ী এমনটিই জানান বাংলানিউজকে।
তারা জানান, বেকারত্ব দূর করতে প্রচুর লোক এ পেশায় ঢুকেছে। তারপরও খারাপ যাচ্ছিল না। তবে করোনা মহামারির কারণে বড় আঘাত এসেছে এ পেশায়। দীর্ঘ সময় বেকার থাকতে হয়েছে। সবকিছু স্বাভাবিক হতে শুরু করলে তারাও এ পেশায় বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেন। শীতের তীব্রতা এ পেশায় নতুন করে আঘাত হেনেছে।
এ ব্যাপারে পাঠাওচালক নাইম বলেন, ‘করোনায় প্রায় চার মাস বেকার ছিলাম। এসময় ধার-দেনা করে চলেছি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে থাকলে দিনে দু-চারটি ট্রিপ পাওয়ায় ভেবেছিলাম ধীরে ধীরে সমস্যাগুলো কাটবে। কিন্তু শীতকালে ট্রিপ হচ্ছে না বললেই চলে। সকালে বেরিয়ে বেলা ১০টা বাজে এখনো কোনো যাত্রী পাইনি। এভাবে চলতে থাকলে এ পেশায় টিকে থাকা কষ্টকর হবে। ’
আরেক চালক মো. বাদল মিয়া জানালেন, ‘শীতের কারণে সকালে এবং সন্ধ্যার পর কোনো যাত্রী পাই না। এসময় যাত্রী পাওয়ার আশায় তীর্থের কাকের মতো বসে থাকতে হয়। তারপরও যাত্রী মেলে না। শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় যাত্রীরা মোটরসাইকেলে উঠতে চান না। এছাড়া, আগের তুলনায় চালকের সংখ্যা বাড়ায় যাত্রীরা দর কষাকষি করেন বেশি। ’
আরেক চালক মো. সাইফুল বলেন, ‘এ পেশায় জীবন ধারণ করাই কষ্ট হয়ে গেছে। দিনে পাঁচশ’ টাকাও আয় হচ্ছে না। পরিবার নিয়ে ঢাকায় থাকি। যে আয় হচ্ছে তাতে বাড়িভাড়া দিয়ে সংসার চলে না। তারপর নিজের খরচ ও বাচ্চাদের খরচ তো বাকিই রয়েছে। ’
তবে নিম্ন আয়ের এসব মানুষের এটুকুই প্রত্যাশা যেন, শত দুর্যোগে কষ্ট করে হলেও দু’মুঠো খেয়ে পরিবার নিয়ে একটু সুখে থাকতে পারেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৯০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২১
এসএমএকে/এফএম