ঢাকা: মোবাইলভিত্তিক পঞ্চম প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করছে বলে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মত দিয়েছেন বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা।
চীনা টেলিযোগাযোগ খাতের অন্যতম প্রতিষ্ঠান জেডটিই সম্প্রতি সাংহাইতে অনুষ্ঠিত মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে ‘ফাইভ জি মেসেজিং ফোরাম’ শীর্ষক সম্মেলন আয়োজন করে বলে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশ কার্যালয় থেকে গত বুধবার (৩ মার্চ) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তিন শতাধিক নির্বাহী, বিশেষজ্ঞ ও অনলাইন সরাসরি অংশগ্রহণ করে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ফাইভজি অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এ সম্মেলনে।
টেলিযোগাযোগখাতের নীতিনির্ধারকদের আকর্ষণে থাকা সম্মেলনটি প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছিল- গ্লোবাল সিস্টেম ফর মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন (জিএসএমএ), সিসিএসএ বা চায়না কমিউনিকেশন্স স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাসোসিয়েশন, এশিয়া ফিনান্সিয়াল কো-অপারেশন অ্যাসোসিয়েশন, চায়না ইউনিয়ন পে, ঝেজিয়াং মেট্রোলজিক্যাল সার্ভিস সেন্টার, চায়না টেলিকম, চায়না মোবাইল, চায়না ইউনিকম ও জাপানের কেডিডিআই। এর পাশাপাশি ফাইভজি মেসেজিং সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে জেডটিই, গৌদু ইন্টারকানেকশন, সাংহাই দাহান্ত্রিকম করপোরেশন ও হোয়েল ক্লাউড টেকনোলজির অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।
ফাইভজি মেসেজিং সেবার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল উল্লেখ করে জেডটিইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং জিয়াং বলেন, টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে অপারেটরদের নেটওয়ার্ক তৈরি, সেবা উন্নয়ন ও ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়।
তিনি বলেন, ডিজিটাল অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে, ফাইভজি মেসেজিংয়ের জন্য পরিবেশ তৈরিতে, উচ্চপর্যায় থেকে মাঠ পর্যায়ের অংশীদারদের টার্মিনাল প্রস্তুতে এবং সেবা দাতা ও ব্যবসায়ী গ্রাহকের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করবে জেডটিই।
তিনটি অপারেটরকে শিল্প গবেষণা ও বাণিজ্যিক (ফাইভ জি মেসেজিং) পরীক্ষায় জেডটিই সাহায্য করেছে। এর পাশাপাশি সরকারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ নয়টি শিল্পের জন্য ৩০০ অ্যাপলিকেশনকে উন্নয়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্মেলনে মূল প্রবন্ধে জেডটিইর ভাইস প্রেসিডেন্ট ওয়াং কুয়ান বলেন, হাজারো শিল্পকে এগিয়ে নিচ্ছে ফাইভজি মেসেজিং সেবা। এটি ভবিষ্যতে প্রান্তিক পর্যায়ের আরও অনেক মানুষের অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে।
জেডটিই এনি মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের আওতায় এনি নেটওয়ার্ক, এনি সার্ভিসেস, এনি হোয়ার ও এনি স্কেল সেবাসমূহ প্রদান করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চীনা অপারেটর ও অংশীদারদের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করে দেশটি ফাইভজি মেসেজিং সেবা একটি পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে বলে জানানো হয় এ ফোরামে। এখন পর্যন্ত মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারকদের পক্ষ থেকে ৬০টি টার্মিনাল ছাড়া হয়েছে। এ ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে উদ্ভাবনী সেবা হিসেবে হাজারো শিল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
চায়না ইনিকমের মহাব্যবস্থাপক ঝ্যাং ইউনঅং বলেন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিক্ষাগ্রহণ করে চীনের তিনটি অপারেটর পারস্পরিক পরিচালনায় সহযোগিতা ও সেবা উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
যেকোনো শিল্পের উন্নয়নে অবদান রাখতে সক্ষম জেডটিইর চালু করা ওপেনল্যাবের দ্বিতীয় সংস্করণ ও প্রথমবারের মতো ইন্ডাস্ট্রি সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থা ফাইভজি মেসেজিং প্রযুক্তির পরিচালনায় এবং প্রশিক্ষণে সাহায্য করছে।
গত বছর এপ্রিল মাসে ফাইভজি মেসেজিংকে বৈশ্বিকভাবে সার্বজনীন সেবা হিসেবে তৈরি করতে এবং অধিক সংখ্যক শিল্পকে এগিয়ে নিতে চায়নার প্রধান তিন অপারেটর যৌথভাবে একটি ওয়াইটপেপার (নীতিমালা) প্রকাশ করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২১
আরবি