ঢাকা: প্রতিষ্ঠার নয় বছর পেরিয়ে দশম বর্ষে পদার্পন করলো এথিক্যাল হ্যাকারদের দেশিয় সংগঠন ‘সাইবার ৭১’। ২০১২ সালের ৮ মার্চ ‘উই হ্যাক টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে প্রতিষ্ঠিত হয় সাইবার ৭১।
সাইবার ৭১ এর পরিচালক আব্দুল্লাহ আল জাবের বাংলানিউজকে বলেন, বাংলাদেশকে নিরাপদ সাইবার স্পেস হিসেবে গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ শুরু করেছিলাম। এখন আমরা প্রায় সবধরনের সামাজিক কাজের সঙ্গেই নিজেদের সম্পৃক্ত করছি। এর জন্য আমাদের স্লোগানেও পরিবর্তন এসেছে। আমাদের এখন স্লোগান হচ্ছে – ‘উই ওয়ার্ক টু প্রটেক্ট বাংলাদেশ’।
নিজেদের যাত্রা শুরুর সময়ের কথা উল্লেখ করে জাবের বলেন, সেই ফেলানী হত্যার সময় থেকে আমরা সাইবার স্পেসে ছড়িয়েছিলাম আমাদের আগুন ঝরা প্রতিবাদ। শুধু বাংলাদেশই নয়, ফিলিস্তিনীদের প্রতি ইসরাইলের বর্বোরোচিত আক্রমণের প্রতিবাদের বিশ্বের সকল হ্যাকারদের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছিলো সাইবার ৭১। রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের সাইবার স্পেসে পরিচালনা করেছিলাম তাদের স্মরণকালের সব চাইতে ভয়াবহ সাইবার আক্রমণ। আমরা শত্রুপক্ষের জন্য যতোটা ভয়ংকর ছিলাম, দেশের জন্য ততোটাই আন্তরিক ছিলাম। রাতের পর রাত জেগে টিমের সবাই বিভিন্ন হ্যাক হওয়া দেশীয় ওয়েবসাইট রিকভার (পুনরুদ্ধার) করেছিলাম। অসংখ্য সাহায্য বা সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে চাচ্ছি শুধুমাত্র একটি নিরাপদ সাইবার স্পেস উপহার দিতে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এথিক্যাল হ্যাকারদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরও দিন দিন বাড়ছে বলে মনে করছেন সাইবার ৭১ এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। আব্দুল্লাহ আল জাবের বলেন, সবার মধ্যে হ্যাকার মানেই একটা নেগেটিভ মনোভাব কাজ করতো। আজকে নিরাপদ সাইবার স্পেস হয়ে উঠেছে সময়ের দাবী। আপনাদের ভালোবাসায় হ্যাকারদের বিষয়ে যে নেতিবাচক মনোভাব কাজ করতো, তা এখন হয়ে উঠেছে প্রয়োজনীয়তার মনোভাবে। ইথিক্যাল হ্যাকার এখন বাংলাদেশের করপোরেট খাতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। এই জ্ঞান থাকলে এখন সবাই বাহবা দেয়, আগের মতো আর হ্যাকারদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে থাকা লাগছে না।
ভবিষ্যতে দেশে এথিক্যাল হ্যাকিং চর্চা বাড়াতে আরও বড় পরিসরে কাজ করার লক্ষ্য আছে বলে সাইবার ৭১ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২১
এসএইচএস/কেএআর