ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইকমার্স অপরিহার্য প্রয়োজন: মোস্তাফা জব্বার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৮, ২০২১
ইকমার্স অপরিহার্য প্রয়োজন: মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: ইকমার্স সেবা আজ অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। আর এই ইকমার্সের সঙ্গে ডাক বিভাগের সক্ষমতাকে একত্রিত করলে গ্রামীণ ইকমার্সের ব্যাপ্তি আরো বাড়ানো সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।

 

বুধবার (৭ এপ্রিল) রাতে ইকমার্স দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনলাইন আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৭ এপ্রিল ইকমার্স দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবিতে ২০১৫ সাল থেকে দিনটিকে ইকমার্স দিবস হিসেবে উদযাপন করে আসছে ইকমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই- ক্যাব।  

‘‘ ই-কমার্স ফর লিভিং’’ শিরোনামে বুধবারের সভায় ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।  

সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মুস্তাফা জব্বার বলেন, ই-ক্যাব আজ অপরিহার্য প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে। ই-ক্যাব হয়েছে ১৫০০ সদস্যের পরিবার। এত অল্প সময়ে ই-কমার্সের এ ব্যাপ্তি ও ই-ক্যাবের এ অগ্রগতি শুধু করোনার কারণে হয়নি। করোনার মতো পরিস্থিতিতে সরকারের নানা পদক্ষেপ ও ই-ক্যাবের যারা নেতৃত্বে রয়েছে তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফসল। দেশের সবচেয়ে বড় ডাক-চেইনকে ই-কমার্সের কাজে লাগানোর মাধ্যমে ই-কমার্সের ব্যাপ্তি আরো প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। ই-কমার্স এবং পোস্টাল সার্ভিস উভয় সক্ষমতা মিলিয়ে গ্রামীণ ই-কমার্সের ব্যাপ্তি বাড়ানো যায়। কারণ ডাক বিভাগের মতো এত বড় বাহিনী ও নেটওয়ার্ক দেশের কোনো প্রাইভেট বা পাবলিক সেক্টরের নেই।  

সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহম্মেদ পলক বলেন, বাংলাদেশের ই-কমার্স এখন বিশ্বজুড়ে আলোচনার বিষয় হয়েছে প্রবৃদ্ধির একটা উদাহরণ হিসেবে। এটা সম্ভব হয়েছে ই-ক্যাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং এ সেক্টরের কর্মীদের একনিষ্ঠ পরিশ্রমের কারণে। ই-ক্যাব একটি নবীন সংগঠন হয়েও তাদের কর্ম তৎপরতা এবং আপদকালীন সময়ে সেবা দিয়ে সক্ষমতা ও দক্ষতার পরিচয়ে দিয়ে আইসিটি সেক্টরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনে পরিণত হয়েছে।  

তিনি বলেন, পৃথিবীর যে তিনটি দেশ করোনাকালীন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। এতে ই-ক্যাব সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।  

সভায় সভাপতির বক্তব্যে ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন,  প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন স্বপ্ন আজ সফল হয়েছে। আজ মুজিববর্ষে এবং স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষে এসে আমরা তার সুফল ভোগ করছি। বিগত সময়ে ই-ক্যাব যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সবসময় আমরা সরকারের সহযোগিতা পেয়েছি এবং পাচ্ছি। করোনার ঢেউ যখন দ্বিতীয়বার এসেছে তখন সরকার প্রথমে চলাচল সীমিত ঘোষণা করে ৬টা পর্যন্ত। আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে এবং সরাসরি গিয়ে বর্তমানে এ সময়টা রাত ১২টা পর্যন্ত বর্ধিত করেছি। এভাবে আমরা মানুষকে সেবা দিতে অনলাইন উদ্যোক্তাদের নিয়ে সবার পাশে থাকবো।  


সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন ইক্যাব এর উপদেষ্টা সংসদ সদস্য (এমপি) নাহিম রাজ্জাক।

সভায় আরো যুক্ত ছিলেন বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন, আমদানী ও রপ্তানী অনু-বিভাগের প্রধান এ এইচ এম শফিকুজ্জামান, ডিজিটাল কমার্স সেল এর প্রধান  হাফিজুর রহমান।  

এছাড়াও ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, ফিন্যান্স সেক্রেটারি আব্দুল হক অনু, জয়েন্ট সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার নিশা, ডিরেক্টর জিয়া আশরাফ, ডিরেক্টর সাইদ রহমানসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।  

অনলাইন সভায় সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির পরিচালক আসিফ আহনাফ।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৮, ২০২১
এসএইচএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।