ঢাকা: এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর তথ্যের সুরক্ষা দিতে নতুন ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচার নিয়ে এসেছে ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ ইমো।
নতুন এ ফিচারের সুবিধাগুলোর মধ্যে রয়েছে সেশন শেষ হওয়ার পরে মেসেজের ‘সেলফ-ডেস্ট্রাকশন’ সুবিধা ও মেসেজের ‘ডিসেমিনেশন কন্ট্রোল।
ইমোতে কোনো নির্দিষ্ট কন্ট্যাক্টের চ্যাট ইন্টারফেসে অ্যাটাচমেন্ট বারে খুঁজে পাওয়া যাবে নতুন সিক্রেট চ্যাট ফিচারটি। এ ফিচারে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের মাধ্যমে চ্যাট সেশনের তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে।
নতুন এ ফিচারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ডেসিমিনেশন কন্ট্রোল ফাংশন। এ ফাংশনের অধীনে, কেউ ব্যক্তিগত কথোপকথন কপি, ফরোয়ার্ড, শেয়ার ও ডাউনলোড করতে পারবে না। এছাড়াও কথোপকথনের স্ক্রিনশট নেওয়া কিংবা ভিডিও ধারণও করা যাবে না ফিচারটির ফলে। তাই ইমো ব্যবহারকারীরা তাদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বিভিন্ন আলাপচারিতা আরও আস্থা ও নিরাপত্তার সঙ্গে করতে পারবেন।
ব্যবহারকারীরা ইমো ব্যবহারে যেন আরও বেশি নিরাপদ বোধ করেন, সে কারণে বিগত কয়েক মাসে নানা ধরনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি সংক্রান্ত পদক্ষেপ নিয়েছে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং প্লাটফর্মটি।
গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের তথ্যের সুরক্ষায় ইমো ফোন নম্বর ভেরিফিকেশন সিস্টেম চালু করে। বিশেষত যখন ব্যবহারকারীরা নম্বর সুইচ করেন, তখন এই ভেরিফিকেশন সিস্টেমটি ব্যবহারকারীর সুরক্ষা নিশ্চিত করে। এ ভেরিফিকেশন সিস্টেমে পুরোনো ফোন নাম্বার ইমোর সাথে সম্পৃক্ত অ্যাকাউন্টের তথ্য অ্যাকসেস করতে পারবে না, ফলে সংশ্লিষ্ট তথ্য সুরক্ষিত থাকবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ইমোর মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত। বাংলাদেশে প্রতিদিন ইমোর মাধ্যমে প্রায় ১৫০ মিলয়ন ফ্রি কল করা হয় এবং ভিডিও ও ছবি আদান-প্রদান করা হয়।
এছাড়াও, ২০২০ সালে ইমো’র মাধ্যমে ৯৬ বিলিয়ন বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে এবং ২৬ বিলিয়ন অডিও ও ভিডিও কল করা হয়েছে। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে স্পষ্টভাবেই বোঝা যায় যোগাযোগের প্রয়োজনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ইমো’র ওপর নির্ভর করছে। সম্প্রতি চালু করা ইমো’র ‘সিক্রেট চ্যাট’ ফিচারটি ব্যবহারকারীদের এখন একে অপরের সাথে আরও সুরক্ষিতভাবে যোগাযোগের সুযোগ করে দেবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ