ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

বিশ্বের শীর্ষ ৫ স্টার্টআপ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
বিশ্বের শীর্ষ ৫ স্টার্টআপ ...

ঢাকা: বর্তমান সময়ে পুরো বিশ্বই ঝুঁকছে স্টার্টআপ ব্যবসার দিকে। সাধারণ মানুষের জীবনকে সহজ করার দারুণ সব উদ্ভাবনী সমাধান নিয়ে বড় হচ্ছে স্টার্টআপগুলোও।

বর্তমান বিশ্বে আর্থিক মূল্যমানে শীর্ষে থাকা পাঁচটি স্টার্টআপ থাকছে এখানে।

বাইটড্যান্স

সিবি ইনসাইটস এর মতে, আর্থিক মূল্যমানে বিশ্বে সর্বোচ্চ দামি স্টার্টআপ হচ্ছে বাইটড্যান্স। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করা চীন ভিত্তিক বাইটড্যান্স-ই হচ্ছে জনপ্রিয় গেমিং অ্যাপ ‘পাবজি’ এর মালিকানা প্রতিষ্ঠান। জার্মানভিত্তিক গবেষণা সংস্থা স্ট্যাটিস্টা এর তথ্যমতে, এই স্টার্টআপটির বাজারমূল্য বর্তমানে ১৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

স্ট্রাইপ

৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজারমূল্য নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে আয়ারল্যান্ড-আমেরিকা ভিত্তিক স্টার্টআপ স্ট্রাইপ। ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) বা আর্থিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালে। আড়াই হাজারের বেশি কর্মী বর্তমানে কাজ করছেন স্ট্রাইপে।

স্পেসএক্স

তালিকার তৃতীয় অবস্থানে আছে মার্কিন উদ্যোক্তা এলন মাস্ক এর ‘ড্রিম প্রজেক্ট’ স্পেসএক্স। একসময় মানুষ মহাকাশে ঘুরে বেড়াতে যাবে এমন লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলা স্পেসএক্স এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৭৪ বিলিয়ন ডলার।

ডিডি চাজিং

বিশ্বের সর্বাধিক বাজারমূল্যের স্টার্টআপের তালিকার চতুর্থ স্থানে আছে আরও একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। ডিজি চাজিং নামের এই স্টার্টআপ পরিবহন বিষয়ে কাজ করে থাকে। বর্তমানে এটির বাজারমূল্য প্রায় ৬২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইন্সটাকার্ট

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ইন্সটাকার্ট সাপ্লাই চেইন বিষয়ক সমাধান দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডার নাগরিকদের গ্রোসারি কেনাকাটা করার নির্বিঘ্ন এক উপায় তৈরি করে দিয়েছে ইন্সটাকার্ট। বর্তমানে স্টার্টআপটির আর্থিক মূল্যমান প্রায় ৩৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

সম্প্রতি স্ট্যাটিস্টা প্রকাশিত এই তালিকার শীর্ষ দশে আরও আছে এআই নিয়ে কাজ করা যুক্তরাষ্ট্রের ইউ আই পাথ (৩৫ বিলিয়ন ডলার), ফিনটেক নিয়ে কাজ করা সুইডেনের ক্লারনা (৩১ বিলিয়ন ডলার), যুক্তরাষ্ট্রের গেমিং প্ল্যাটফর্ম এপিক গেমস (২৮.৭ বিলিয়ন ডলার), ডাটা ম্যানেজমেন্ট প্ল্যাটফর্ম ডাটাব্রিক্স (২৮ বিলিয়ন ডলার), ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান রিভিয়ান (২৭.৬ বিলিয়ন ডলার), ব্রাজিল ভিত্তিক লাতিন আমেরিকার সর্ববৃহৎ ফিনটেক প্রতিষ্ঠান (২৫ বিলিয়ন ডলার) এবং সবশেষে আছে ইন্দোনেশিয়ার গোটু (১৭ বিলিয়ন ডলার)।

ইন্দোনেশিয়ার জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম গোজেক এবং ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম টোকোপিডিয়া একত্রিত হয়ে তৈরি করে গোটু।

সিবি ইনসাইটস এর মতে, বিশ্বে ৬৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ আছে অর্থ্যাৎ যাদের বাজারমূল্য কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা তার অধিক। এসব ইউনিকর্ন এর সম্মিলিত আর্থিক মূল্যমান দুই দশমিক দুই ট্রিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৩, ২০২১
এস এইচ এস/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।