ঢাকা: প্রযুক্তি ব্যবহার করে করোনা পরিস্থিতিতেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সোমবার (২৬ এপ্রিল) ইলেকট্রনিক ও ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন এর ‘স্টে হোম’ অফার কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
এসময় তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রযুক্তিকে মূল হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে গত ১৩ মাসে অনলাইনে পণ্য সরবরাহ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্যিক ও বিচার কার্যক্রম চলমান। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিও ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।
পলক বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাথাপিছু পার ক্যাপিটা ইনকাম ছিল ৫শ ডলারের নিচে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে করোনার মধ্যেও মাথাপিছু আয় বেড়ে বর্তমানে ২ হাজার ৬৯ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাত্র ১২ বছরে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় দেশে ডিজিটাল ডিভাইসের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৯৪টি আইটেমের খুচরা যন্ত্রাংশের আমদানি শুল্ক কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়। ফলে দেশে ৮টির বেশি মোবাইল যন্ত্রাংশ সংযোজন ও উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। ওয়ালটন ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস উৎপাদন এবং বিদেশেও রপ্তানি করছে।
গ্রামে বসেই একজন নাগরিক শহরের সব আধুনিক সুবিধা যেন পায় সেই লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি নিজস্ব পণ্য ও উদ্ভাবন দিয়ে আত্মনির্ভরশীল ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সবার সম্মিলিত প্রয়াসের উপর গুরুত্বারোপ করেন।
অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন ওয়ালটন ডিজিটেক এর চেয়ারম্যান রেজাউল আলম, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইভা রেজওয়ানা, নির্বাহী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার লিয়াকত আলী, উদ্যোক্তা সাবিহা জেরিন অর্না।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০২১
এসএইচএস/এএ