ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

সুবিধাবঞ্চিতদের কাছে ‘ঈদ খুশি’ পৌঁছে দিলো শাওমি

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৬ ঘণ্টা, মে ৭, ২০২১
সুবিধাবঞ্চিতদের কাছে ‘ঈদ খুশি’ পৌঁছে দিলো শাওমি

ঢাকা: গ্লোবাল টেকনোলজি লিডার শাওমি পবিত্র রমজান মাসে সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিচ্ছে। ‘ঈদ খুশি’ নামের এই আয়োজনে প্রতিষ্ঠানটি সুবিধাবঞ্চিত পরিবারগুলোকে সাত দিনের খাবার ও ঈদসামগ্রী দিচ্ছে।

শাওমির এই কাজে সহায়তা করছে দেশের অন্যতম কমিউনিটি সংগঠন জাগো ফাউন্ডেশন।

এই আয়োজন সম্পর্কে শাওমি বাংলাদেশের কান্ট্রি জেনারেল ম্যানেজার জিয়াউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘কোভিড মহামারি আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাপকভাবে বিঘ্ন ঘটিয়েছে। এই প্রতিকূল সময় আমাদের ধৈর্য, নমনীয়তা, প্রতিক্রিয়াশীলতা ও সর্বোপরি - আমাদের একাত্মতা এবং চেতনার পরীক্ষা নিয়েছে। এমনি প্রতিকূল পরিস্থিতিতে আমরা শাওমি থেকে এই ঈদে সুবিধাবঞ্চিত ৫০০ পরিবারকে সহায়তায় খাবার ও প্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিচ্ছি। এই পরিবারগুলোর মাঝে ঈদের খুশি ও কিছু নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমরা পৌঁছে দিচ্ছি জাগো ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। ’ 

জাগো ফাউন্ডেশন দেশের সুপরিচিত কমিউনিটি সংগঠন, যারা যুব ক্ষমতায়নসহ নানা মানবিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছে। এই কার্যক্রমে দেশব্যাপী ছড়িয়ে থাকা জাগো ফাউন্ডেশনের স্বেচ্ছাসেবকদের দিয়ে রমজানের মহিমা ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করবে সংগঠনটি।  

বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে এর আগেও শাওমি চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। গত বছর বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ২০ লাখ টাকাসহ ৪০ লাখ টাকা বিভিন্ন সহায়তায় দিয়েছে শাওমি।

শাওমি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে এবং ২০১৮ সালের ৯ জুলাই (১৮১০.এইচকে) হংকং স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান বোর্ডে তালিকাভুক্ত হয়। শাওমি একটি ইন্টারনেট কোম্পানি যা আইওটি প্লাটফর্মের মাধ্যমে স্মার্টফোন ও স্মার্ট হার্ডওয়্যারের সঙ্গে সংযুক্ত।  

সবার জন্য প্রযুক্তির সমান অধিকার নিশ্চিতে শাওমি উদ্ভাবন ও মানে গুরুত্ব দেয়। সবসময় শাওমি তাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করে উচ্চমানের প্রযুক্তি আনার চেষ্টা করে। কোম্পানিটি সম্প্রতি বিশ্বের সেরা সব উদ্ভাবনী পণ্য এনেছে, যা ‘অনেস্ট প্রাইস’ বা সাশ্রয়ী মূল্যে জীবনকে আরও সহজ করে তোলে।  

বর্তমানে শাওমি বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ও বিশ্বের বৃহত্তম কনজ্যুমার আওটি প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করেছে। এই প্লাটফর্মে স্মার্টফোন ও ল্যাপটপ ছাড়াই ২৯৮ দশমিক ৫ মিলিয়নের বেশি ডিভাইস সংযুক্ত রয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের ৯০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে শাওমির পণ্যগুলো ব্যবহার হচ্ছে।

২০২০ সালের আগস্টে কোম্পানিটি ফরচুন গ্লোবালের সেরা ৫০০ তালিকায় দ্বিতীয়বারের মতো স্থান করে নিয়েছে, সেই তালিকায় শাওমির অবস্থান ৪২২তম। যা গত বছরের তুলনায় ৪৬ ধাপ ওপরে। এ ছাড়া ইন্টারনেট সার্ভিস ও রিটেইলিং ক্যাটাগরিতে সপ্তম অবস্থানে আছে।  

শাওমি হ্যাং সেন সূচক, হ্যাং সেন চীন এন্টারপ্রাইজ সূচক ও হ্যাং সেন টেক সূচকেও রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৬ ঘণ্টা, মে ০৭, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।