ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

জুলাই থেকে অচল হচ্ছে অবৈধ মোবাইল, উপহারের সেটে ছাড়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৬ ঘণ্টা, জুন ১, ২০২১
জুলাই থেকে অচল হচ্ছে অবৈধ মোবাইল, উপহারের সেটে ছাড়

ঢাকা: মোবাইল ফোন গ্রাহকের হ্যান্ডসেটের নিরাপত্তা বিধান ও সরকারের রাজস্ব আয় বাড়াতে আগামী জুলাই মাস থেকে অবৈধ মোবাইল হ্যান্ডসেট বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

বিটিআরসি কর্মকর্তারা বলছেন, এই প্রক্রিয়ায় অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটগুলো বন্ধ করা হবে।

তবে বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার হিসেবে পাওয়া মোবাইল সেটগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে।   

মঙ্গলবার (১ জুন) বিটিআরসির একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অবৈধ ও নকল মোবাইল হ্যান্ডসেটের বিক্রয়, আমদানি ও বাজারজাতকরণ নিরুৎসাহিত করার লক্ষ্যে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, একই আইএমইআই নম্বরের সেটগুলোর তালিকা করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত চালু থাকবে। তারপর সরকারের নির্দেশনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আর পুরনো সেটের বিষয়ে বিটিআরসির সিস্টেমে ভেরিফাই করে চালু করা হবে। বিদেশ থেকে পাওয়া উপহারের সেটগুলোকে নিবন্ধনের সুযোগ দেওয়া হবে। তারা কাগজপত্র দেখিয়ে নিজেই ওয়েবসাইট, মোবাইল ফোন অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার থেকে নিবন্ধন করে নিতে পারবেন।  

অবৈধ হ্যান্ডসেটের ব্যবহার ঠেকাতে গত বছরের ২৫ নভেম্বর দেশীয় আইটি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান সিনেসিস আইটির সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সই করে বিটিআরসি।

বিটিআরসির একজন কর্মকর্তা জানান, ২০১৯ সালের ১ আগস্টের আগে বিভিন্ন মোবাইল অপারেটরের নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত ও ২০১৯ সালের ১ আগস্টের পর বৈধ পথে আমদানি করা এবং দেশে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত বা সংযোজিত সব মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের তথ্য বিটিআরসিতে সংরক্ষিত আছে। এর বাইরে যে সব অবৈধ সেট আছে বা বিদেশ থেকে আনা হ্যান্ডসেটগুলো পরবর্তীসময়ে বৈধ কাগজপত্র দেখিয়ে বিটিআরসির কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে চালানো যাবে। তবে একই ব্যক্তি বারবার উপহার হিসেবে পাওয়া সেট গ্রহণযোগ্য হবে না।

বিটিআরসির ওই কর্মকর্তা বলেন, তাদের কাছে ১২-১৩ কোটি মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরের তথ্য আছে। তাতে প্রায় ৬-৭ কোটি মোবাইল সচল বলে ধারণা করা হয়। কারণ একই সেটে একাধিক সিম ব্যবহার হয়।

কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিটিআরসির এনওসি অটোমেশন অ্যান্ড আইএমইআই ডাটাবেজ (এনএআইডি) সিস্টেমে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ কোটি আইএমইআই নম্বর সংযোজন হয়েছে। এনএআইডি সিস্টেমের আইএমইআইসমূহ, মোবাইল অপারেটরের ইআইআর এবং বিটিআরসিতে স্থাপিত জাতীয় পর্যায়ের কেন্দ্রীয় এনইআইআর একটি সমন্বিত সিস্টেম হিসেবে কাজ করবে। এনইআইআর সিস্টেমটি সরাসরি প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরের নিজ নিজ ইআইআর এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। গ্রাহকদের মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে নিবন্ধিত হয়ে ব্যবহার উপযোগী হবে। এনইআইআর সব হ্যান্ডসেটের বৈধতা যাচাইয়ের মাধ্যমে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেটের প্রবেশাধিকার বিষয়ে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দেবে।  

বিদেশ থেকে নিয়ে আসা হ্যন্ডেসেট গ্রাহকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এনইআইআরের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে কেনার রশিদ যাচাই সাপেক্ষে এবং যেসব সেট উপহার হিসেবে দেশে এসেছে, তা যথেষ্ট প্রমাণকের ভিত্তিতে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে কমিশনের সিদ্ধান্তের আলোকে এনইআইআরে সক্রিয় করা হবে।

বিটিআরসি জানায়, এনইআইআর সিস্টেম সম্পন্ন হলে সরকার প্রতিবছর চার হাজার কোটি টাকার মতো বাড়তি রাজস্ব পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৫ ঘণ্টা, জুন ০১, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।